বৃহস্পতিবার বাংলার অনুপ্রবেশ নিয়ে বড় অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিজি থেকে শুরু করে বিএসএফ সকলকে নিয়েই অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গ টেনে এনেই দিলীপ বলেন, 'পুলিস তো ছাড়, পুর প্রশাসনও তোলা তোলে।' তিনি আরও বলেন, 'মালদহ এর নেতা খুন হলেন। পুলিস দফতর তো আপনার হাতে। পুলিস ভেরিফিকেশন হয় পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে। কি করে এটা হয়? উনি কেবল স্টেটমেন্ট দেন।'
মমতাকে নিশানা করে বলেন, 'হিম্মত থাকলে আগে বালি, কয়লা, গরু পাচার বন্ধ করুন। অপরাধ এ উনি ওদের দিয়ে করেন। সঙ্গে সঙ্গে ঝেড়ে ফেলেন।' ২০২৬-এর বিধানসভা ভোট নিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, '২৬ এ ওষুধ প্রয়োগ হবে। সেই ওষুধ আমাদের কাছে আছে। রাজ্যে যারা তৃণমূলের সঙ্গে থাকবেনা তারা রোজগার করে খেতেও পারবেনা এটা এখানকার রাজনীতি।'
জঙ্গি প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, 'জঙ্গি তো এই রাজ্যে ধরা পড়ছে। অমিত শাহ কি করবেন সেটা আপনি ছেড়ে দিন। এই ইস্যু তে রাস্তায় নামুন। নাটক করবেন না। বিহার, ইউপি থেকে নাকি গুন্ডা আসছে বলছে ববি হাকিম। ঢুকছে কি করে? সাহস পাচ্ছে কি করে? বিজেপির সরকার যেখানে আছে করার দম নেই। উনি আগে ওঁনার দফতর এর কাজে মন দিন।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রতি বছর ঘাটালে বন্যা হবে। এরা ফটো তোলার সরকার। বীরভূম নিয়ে এখন দুঃখ এর কারণ আছে। বালি পাচার হচ্ছে, উনি ভাগ পাচ্ছেন না। কাজল শেখ বোধহয় ঠিক মত ভাগ দিচ্ছেনা। গোপী বল্লভ পুরে তো পুরোটাই বালি পাচার। উনি কি করছেন? জানেন না!'
উল্লেখ্য, নতুন বছরের প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকে বসেন মমতা। রাজ্য পুলিসের ডিজির উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সীমান্ত তৃণমূল বা পুলিশ পাহারা দেয় না। পাহারা দেয় বিএসএফ। আর তারাই অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে। সীমান্ত পেরিয়ে দুষ্কৃতীরা এসে খুন করে চলে যাচ্ছে। ডিজি রাজীব কুমার এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য পেয়েছেন, যা গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় স্তরেও কিছু কিছু তথ্য মিলেছে। আমাকে সেসব তথ্য সবিস্তারে দেওয়া হোক। আমি এনিয়ে কেন্দ্রকে বড় চিঠি লিখব। আগেও বারবার কেন্দ্রকে এনিয়ে আমি বলেছি।'