• 'পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে কি নিজের দলের লুঠেরাদের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন মমতা?'
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ জানুয়ারি ২০২৫
  • বিএসএফের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশ। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সুকান্তবাবু প্রশ্ন তুলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ভোলবদল কেন?

    এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা বিভ্রান্তির চরমে পৌঁছে গিয়েছেন। বিএসএফকে চৌকি তৈরি করতে জমি না দিলেও তাদেরই অবৈধ অনুপ্রবেশের জন্য দুষছেন তিনি। কিন্তু এখন তিনি সব সীমা ছাড়িয়ে নিজের প্রশাসনের আধিকারিকদেরও কাঠগড়ায় তুলতে শুরু করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য অনুসারে অযোগ্য জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা দুষ্কৃতীদের অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছেন। যারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের খুন করছে। 

    সুকান্তবাবুর সংযোজন, এতদিন উনি এই ধরণের ঘটনার জন্য শুধুমাত্র বিরোধীদের দায়ী করতেন। কিন্তু হঠাৎ মমতার এই ভোলবদল কেন? তিনি তাঁর পার্টির লুঠেরাদের কুকর্ম ঢাকার চেষ্টা করছেন? 

    মুখ্যমন্ত্রীকে সতর্ক করে সুকান্তবাবু লিখেছেন, মামনীয়া ভুলে যাবেন না পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আপনার ছলচাতুরি দেখছে। আপনি পশ্চিমবঙ্গকে অপবিত্র করেছেন। আপনার বিদায় আসন্ন। 

    বৃহস্পতিবার নবান্নে এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএসএফের সঙ্গে সমঝোতা করে অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকাচ্ছেন আপনারা। কেউ প্রতিবাদ করছেন না। আপনারা ঢোকাচ্ছেন না, ঢোকাচ্ছে বিএসএফ।’

    তিনি বলেন, ‘বর্ডার গার্ড পুলিশ দেয় না। কিন্তু পুলিশের কাছে ইনফরমেশন থাকে। ঢোকার পর কোথায় যাচ্ছে। জেলাশাসকদের কাছে ইনফরমেশন থাকে। কিন্তু তারা কোনও ইনফরমেশন দেয়নি। রাজীব কুমার আমাকে কিছু ইনফরমেশন দিয়েছে। বাকি ইনফরমেশন আমার চাই। কারণ আমি একটা স্ট্রং চিঠি লিখব। কেন এটা করা হচ্ছে।’

    এর পরই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে ফের বিএসএফের উদ্দেশে আক্রমণ চালান মমতা। তিনি বলেন, ‘বিএসএফ ইসলামপুর দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে। আমাদের কাছে খবর আছে। সিতাই দিয়ে ঢোকাচ্ছে। চোপড়া দিয়ে ঢোকাচ্ছে। আরও অনেক জায়গা দিয়ে ঢোকাচ্ছে। বিএসএফ মেয়েদের ওপর অত্যাচার করছে। কিন্তু আপনাদের দিক থেকে কোনও প্রতিবাদ কেন হয়নি?’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)