• তলায় তলায় ভাই-ভাই, জেএমবি-এবিটির দেখা জেলে, সক্রিয় হচ্ছে কেএলও?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ জানুয়ারি ২০২৫
  • কেএলও। কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন। বাম আমলে একাধিক নাশকতামূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল এই কেএলওর নাম। এদিকে সূত্রের খবর, সম্প্রতি সংগঠনরে প্রতিষ্ঠা দিবসে কেএলও নেতা বলে পরিচয় দেওয়া কোচ পাভেল সংবাদমাধ্যমে একটা বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের সঙ্গে কেএলওর যে শান্তি আলোচনা হয়েছিল তা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। আর সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল এই পরিস্থিতির জন্য কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিংহকেও একহাত নেন তিনি। 

    তিনি জানিয়েছিলেন জীবন সিংহের পরিকল্পনাহীন সিদ্ধান্তের জন্য় আজ কোচ রাজবংশী জনজাতির চরম দুর্দশা। কামতাপুর রাজ্যকে এক করতে হবে। কার্যত এই দাবি কেএলওর বহুদিনের। তবে এবার সেই কেএলও আচমকা সুর চড়াতে শুরু করেছে। 

    এদিকে কেএলওর এই বিবৃতির পরেই গোয়েন্দাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তবে কি দীর্ঘদিন আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা কেএলও নেতারা ফের কোথাও থেকে ইন্ধন পাচ্ছেন? কাদের থেকে ইন্ধন পাচ্ছেন তারা? 

    এদিকে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়েন্দাদের ধারণা আনসারুল্লা বাংলা টিম, জেএমবি ও কেএলওর মতো সংগঠনগুলি একে অন্যকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহ করে সাহায্য করছে। উত্তরবঙ্গের কিছু জায়গায় দাওয়াতের নাম করে বৈঠক হয়েছে। এদিকে এই দাওয়াতে আমন্ত্রিত ছাড়া কেউ হাজির হন না। সেকারণে এলাকার বাছাই করা যুবকরাই সেখানে থাকছে।

    কিন্তু আচমকা দাওয়াতের কথা কেন বলা হচ্ছে? আসলে বিষয়টি দাওয়াতের নয়। বিষয়টি আচমকাও নয়। আসলে সম্প্রতি এবিটি জঙ্গি সন্দেহে নূর ইসলাম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে বার বার আলিপুরদুয়ারে যেত। আর সে দাওয়াতের নাম করে ফালাকাটায় কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করেছিল বলে খবর। 

    এখানেই শেষ নয়। এবিটির সঙ্গে জামাতুল মুজাহিদিনের টিম মেম্বারদের একটা যোগাযোগ রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত সাদিক সুমনের সঙ্গে বহরমপুর জেলে দেখা হয়েছিল পকসো মামলায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত আব্বাস আলির। এই সাদিক আবার জেএমবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে খবর। তার সঙ্গে আবার নূর ইসলাম মণ্ডলের যোগাযোগ ছিল বলেও খবর। আব্বাস পরে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসার পরে এবিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখত বলে অভিযোগ। আসলে জেলে বসেই ব্রেনওয়াশ হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তারপর বাইরে এসেই ফের শুরু হয় কাজকর্ম।

    সব মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে একাধিক জঙ্গি সংগঠন নিজেদের মধ্য়ে তলায় তলায় যোগাযোগ রাখছে। আপদে বিপদে কার্যত একে অপরের ভাই-ভাই। ইস্যু আলাদা হলেও অবৈধ কাজে তাদের যোগাযোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ।  
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)