• BSFকে দিয়ে অনুপ্রবেশ করিয়ে রাজ্যে জঙ্গি হামলার চক্রান্ত করছে কেন্দ্র, দাবি মমতার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ জানুয়ারি ২০২৫
  • ফের একবার চাপের মুখে প্রশাসনিক আধিকারিকদের ঢাল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশ থেকে লাগাতার অনুপ্রবেশের জন্য নিজের পুলিশ - প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুললেন তিনি। একই সঙ্গে অনুপ্রবেশের জন্য দায়ী করলেন বিএসএফকেও। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য জঙ্গি হামলায় মদত দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করলেন তিনি।

    বৃহস্পতিবার নবান্নে এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএসএফের সঙ্গে সমঝোতা করে অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকাচ্ছেন আপনারা। কেউ প্রতিবাদ করছেন না। আপনারা ঢোকাচ্ছেন না, ঢোকাচ্ছে বিএসএফ।’

    তিনি বলেন, ‘বর্ডার গার্ড পুলিশ দেয় না। কিন্তু পুলিশের কাছে ইনফরমেশন থাকে। ঢোকার পর কোথায় যাচ্ছে। জেলাশাসকদের কাছে ইনফরমেশন থাকে। কিন্তু তারা কোনও ইনফরমেশন দেয়নি। রাজীব কুমার আমাকে কিছু ইনফরমেশন দিয়েছে। বাকি ইনফরমেশন আমার চাই। কারণ আমি একটা স্ট্রং চিঠি লিখব। কেন এটা করা হচ্ছে।’

    এর পরই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে ফের বিএসএফের উদ্দেশে আক্রমণ চালান মমতা। তিনি বলেন, ‘বিএসএফ ইসলামপুর দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে। আমাদের কাছে খবর আছে। সিতাই দিয়ে ঢোকাচ্ছে। চোপড়া দিয়ে ঢোকাচ্ছে। আরও অনেক জায়গা দিয়ে ঢোকাচ্ছে। বিএসএফ মেয়েদের ওপর অত্যাচার করছে। কিন্তু আপনাদের দিক থেকে কোনও প্রতিবাদ কেন হয়নি?’

    মমতার সাফাই, ‘বর্ডার আমাদের হাতে নয়। বর্ডার বিএসএফের হাতে। যারা বাইরে থেকে আসে। ভিসাও আমাদের হাতে নেই। কেন্দ্রের হাতে। যারা প্লেনে আসে তাদের তালিকা আগে আমাদের দিত, এখন দেয় না। মানে আমরা জানতে পারি না কারা আসছে। কারা ঢুকছে।’

    কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে মমতা বলেন, ‘ট্রেনও চলছে, বাসও চলছে, বিএসএফও চলছে। আর কেউ যদি মনে করে বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করব, এটা তৃণমূল কংগ্রেস করছে না। তৃণমূল কংগ্রেসের করার অধিকার নেই আর সাধ্যও নেই। এলাকাটা কন্ট্রোল করে বিএসএফ।’

    এমনকী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি হামলা করার চক্রান্ত করার অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘আমরা তো চাই ওখানেও শান্তি থাক, এখানেও শান্তি থাক। আমরা তো দুই বাংলার মধ্যে কোনও খারাপ সম্পর্ক নেই। এখানে গুন্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খুন করছে, চলে যাচ্ছে এই রকম লোক পাঠানো হচ্ছে। এটা বিএসএফের অনেক ভিতরকার কাজ। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের একটা ব্লু প্রিন্ট আছে। নইলে এটা হত না। আমি বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি। যা করবেন আপনারা সেটাই আমাদের পথ। কিন্তু আমি যদি দেখি আমার রাজ্যকে ডিস্টার্ব করার জন্য জঙ্গি হানাতে কেউ মদত দিচ্ছে সেক্ষেত্রে তো আমাদের প্রতিবাদ করতেই হবে। সেজন্য আমাদের প্রতিবাদপত্র যাবে।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)