খবর পেয়ে উত্তরায়ন ফাঁড়ির ওসি অমর্ত্য চক্রবর্তী বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মা ও ছেলেকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সুজিত দাসও স্ত্রী ও ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে অসুস্থ বোধ করেন। তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাড়ির পরিচারিকা সুমন্তি মুন্ডার বক্তব্য, ‘আমি রোজ সকাল সাতটায় আসি। আজ ম্যাডামের ছেলের ছুটি ছিল দেখে দশটায় আসতে বলেছিলেন ম্যাডাম। এসে আমি দেখি সব বন্ধ। ঘরে গিয়ে দেখি বেডরুম লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। পরে খবর পাই বাবু আর ম্যাডাম মারা গিয়েছেন। ’
সুজিতের মেয়ে পড়াশোনার জন্য ব্যাঙ্গালোরে থাকেন। নতুন বছরের প্রথম দিন বাড়ির লোকের সঙ্গে কাটানোর জন্য বেঙ্গালুরু থেকে বাড়ি এসেছিলেন। বৃহস্পতিবারই তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। বুধবার রাতে বর্ষবরণ উপলক্ষে সকলে মিলে খাওয়া দাওয়া করে।কর্মসূত্র বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরেই থাকতেন সুজিত। বুধবার রাতে সকলে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন। এর পর ব্যবসার কাজে সুজিত চলে যান নেপালের দিকে। বাকিরাও খাওয়াদাওয়া সেরে শুয়ে পড়েন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ঠান্ডায় ঘরের জানালা দরজা বন্ধ রেখে কয়লার উনুন জ্বালানো ছিল ঘর গরম করার জন্য। তা থেকে কোনও ভাবে নির্গত কার্বন মনোক্সাইড ছড়িয়ে পড়ে ঘরের ভিতর। তার জেরেই শাসকষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মা ও ছেলের। অসুস্থ হয়ে সংজ্ঞাহীন হন মেয়ে। আবার, খাবারের থেকেও বিষক্রিয়া হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই বাড়িতেই থাকতেন মৃত তিথি দাসের ভাগ্নে তন্ময় সরকার। তিনি বলেন, ‘উদ্ধারের সময়ে ঘরে কোনও ধোঁয়া বা পোড়া গন্ধ ছিল না।’
তথ্য সহায়তা: রাহুল মজুমদার