৩১ ডিসেম্বর রাতে সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার অন্তর্গত লোহাপুলের পোলেন আইট এলাকায় ওই যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, উদয়নপল্লিতে একটি ক্লাবের মাঠে মঙ্গলবার রাতে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় সুব্রতকে। পেশায় একটি খাবার সংস্থার ডেলিভারি বয়ের কাজ করতেন সুব্রত। তাঁকে উদ্ধারের সময় তাঁর মাথার পিছনে গভীর আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হয়, যুবকটি পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাঁর পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায়। আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল এবং সেখান থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সেখানেই মারা যান সুব্রত। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। দোষীদের চরম শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।
খুনের ঘটনায় সবুজ মিস্ত্রি নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃতের সঙ্গে অভিযুক্তের পুরোনো গোলমাল ছিল বলে দাবি পুলিশের। ঘটনাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহিষবাথানের উদয়নপল্লিতে চাঞ্চল্য তৈরি হয়।
যুবকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবারে। সুব্রতের মা রীতা মাজি বলেন, ‘অনেক বার করে ছেলেকে বারণ করেছিলাম রাতে না বের হতে। আমার কথা শোনেনি। আমার ওই একটি ছেলেই ছিল। আগে একটি ছেলে অনেক ছোট অবস্থায় হারিয়ে যায়। আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।’ এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত আছে কি না সে ব্যাপারে তদন্ত করছে পুলিশ।