হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের সাক্ষী কোচবিহার রাজবাড়ি, এই শীতে দেখে আসতে পারেন এই হেরিটেজ স্থাপত্য
আজকাল | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইতিহাসের বিচারে কোচবিহার রাজবাড়ি খুব বেশি পুরনো নয়। বয়স মোটামুটি ১৩৮ বছর। তবে তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। কোচবিহারের এই প্রাসাদ ভিক্টোরিয়ান জুবিলি প্যালেস বা রাজবাড়ি নামেও পরিচিত। কোচবিহারের সবচেয়ে আইকনিক এবং বিখ্যাত স্থান। ১৮৮৭ সালে লন্ডনের বাকিংহ্যাম প্যালেসের অনুকরণে এই স্থাপত্য গড়ে তোলা হয়। কোচবিহারে তখন মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের আমল। হেরিটেজ শহর হিসেব কোচবিহার চিহ্নিত হওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ এই প্রাসাদ।
আগে কোচবিহার রাজবাড়ি ছিল তিনতলা। ১৮৯৭ সালে অসমের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ওপরের তলটি ভেঙে পড়ে। প্রাসাদের মোট আয়তন ৫১,০০০ বর্গফুট। মূল কাঠামো ৩৯৫ ফুট লম্বা এবং ২৯৬ ফুট চওড়া। একতলা ও দোতলার সামনের দিকে আছে খিলানযুক্ত বারান্দা। মাঝখানের প্রাঙ্গণ দিয়ে দরবার হলে ঢুকতে হয়। সেখানে দেখবেন অসাধারণ সুন্দর ধাতব গম্বুজ। তার ওপর চোঙের মতো আকারের ঘুলঘুলি। গোটা স্থাপত্য জুড়ে ইউরোপীয় রেনেসাঁস-এর প্রভাব। প্রসাধন ঘর, শোয়ার ঘর, বসার ঘর, খাওয়ার ঘর, বিলিয়ার্ড ঘর, গ্রন্থাগার, তোষাখানা, দেখার মতো। ভিতরে একটি ছোট্ট সুন্দর সুসজ্জিত উদ্যান রয়েছে এবং একটি পুকুর রয়েছে। যেখানে মাছ ছাড়াও কচ্ছপ দেখা যায়।
কোচবিহারের রাজবাড়ী কীভাবে যাবেন ভাবছেন? কলকাতা থেকে রেলপথ এবং সড়কপথে খুব সহজেই কোচবিহার পৌঁছনো যায়। কলকাতা থেকে দূরত্ব মোটামুটি ৭১০ কিলোমিটার। শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া থেকে আপনি কোচবিহারগামী বেশ কয়েকটি ট্রেন পাবেন। যেমন তিস্তা তোর্সা, কামরূপ, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস। ট্রেনে করে নিউ কোচবিহার স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে কোচবিহার রাজবাড়ী আসতে গাড়িতে লাগবে ১৫ টাকা ভাড়া। শহরেই অনেক থাকা ও খাওয়ার জায়গা রয়েছে।