আকাশ ছুঁতে চাইলে পরিশ্রমই মূল মন্ত্র, পড়ুয়াদের উপদেশ সাংসদ রচনার...
আজকাল | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
মিল্টন সেন: নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে বৃহস্পতিবার জেলা সদর চুঁচুড়ায় আসেন সাংসদ রচনা ব্যানার্জি। ঘুরে দেখেন স্থানীয় স্কুল এবং কলেজগুলি। শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে। স্কুলে গিয়ে মিড ডে মিলের খাবার চেখে দেখেন। তেল মশলা ছাড়া খাবার খেয়ে মিড-ডে মিলের রাধুনীদের দশে দশ দেন সাংসদ।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে এদিন হুগলি মহসিন কলেজ এবং হুগলি উইমেন্স কলেজে হাজির হন সাংসদ। তাঁকে দেখা মাত্রই উচ্ছসিত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সেলফি তোলার তোড়জোড় শুরু হয়। সাংসদও হাসি মুখে তাঁদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। পরে কলেজের সেমিনার হলে সাংসদ পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বলেন, ''স্বপ্ন দেখলে, বড় স্বপ্ন দেখ। আর সেই স্বপ্নকে সত্যি করতে কষ্ট কর, পরিশ্রম কর। স্বপ্ন সফল করতে যা যা করতে হয় সেটাই কর। আমি নিজে সেটা বুঝেছি। পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। এটা আমি আমার জীবন থেকে শিখেছি। যদি তুমি আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখো, তবে তুমি পাহাড়ে উঠতে পারবে। যদি গাছে ওঠার স্বপ্ন দেখো তাহলে নিচেই থেকে যাবে। তোমাদের আকাশ ছুঁতে হবে।''
এদিন সাংসদকে সম্বর্ধনা দেন মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ পুরুষোত্তম প্রামাণিক। সাংসদকে কাছে পেয়ে কলেজ চত্ত্বরে মেয়েদর জন্য একটি হোস্টেল তৈরি করার আবেদন জানানো হয়। প্রতুত্তরে সাংসদ জানান, লিখিত আবেদন জানাতে। তিনি অবশ্যই যা করার করবেন। সেখান থেকে সাংসদ পৌঁছন চুঁচুড়ার জ্যোতিষচন্দ্র স্কুল, গরবাটি স্কুল এবং অনুকুল চন্দ্র স্কুলে। পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনা করেন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও। জানার চেষ্টা করেন স্কুলের খামতিগুলির বিষয়ে। জ্যোতিষচন্দ্র স্কুলের মিড ডে মিল রান্নাঘর ঘুরে দেখেন। বাচ্চাদের জন্য কী রকম রান্না তা চেখেও দেখেন। আলু-ফুলকপির তরকারি দিয়ে ভাত খেয়ে বলেন, 'অপূর্ব, রাঁধুনিকে দশে দশ দিলাম। তেল মশলা ছাড়া এত ভাল রান্না আগে কোনও দিন খাইনি। ডাল পছন্দ করিনা, তাই ফুলকপি দিয়ে ভাত খেলাম। মিড ডে মিল যারা রান্না করেন, তাঁরা খুব সুন্দর রান্না করেছেন। খুব ফ্রেশ খাবার।'ছবি পার্থ রাহা।