আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রকাশ্য দিবালোকে মালদায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খুনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পুলিশকে ভৎর্সনা। আর তারপরেই অ্যাকশন মুডে মালদহ জেলা পুলিশ। ঘটনার ছ' ঘন্টার মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে দুলাল সরকার খুনের তদন্তে দু'জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। জানালেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সম্ভব জৈন । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই যুবকের একজনের বাড়ি মালদহ জেলার সদর এলাকায়। অপরজন বিহারের পূর্ণিয়া জেলার বাসিন্দা।
যদিও খুনের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত এখনও চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে প্রশ্ন বিহার থেকে কীভাবে বাংলায় এসে দুস্কৃতিরা খুন এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে ফেলছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয় এই খুনের পেছনে কী কারন রয়েছে। সমস্তটা তদন্তে উঠে আসবে হলে জানাচ্ছে মালদা জেলা পুলিশ।
নবান্ন সভাঘরে বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শুরুতেই তাঁর কথায় উঠে আসে দুলাল প্রসঙ্গ। বলেন, ‘আমার খুব পরিচিত, সহযোদ্ধা। প্রথমদিন থেকে মাআর সঙ্গে কাজ করছে। আজ খুন হয়েছে, পুলিশের গাফিলতিতে।‘ বৈঠকের মাঝেও দুদাল প্রসঙ্গ উঠে আসে তাঁর কথায়। বলেন, এসপির অপদার্থতার জন্য খুন। বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিল। আগেও তার উপর হামলা হয়েছিল। নিরাপত্তাও আগে তুলে নেওয়া হয়েছিল।‘ মালদহের জেলাশাসককে বৈঠকেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ বর্ডার আর কালিয়াচক নিয়ে ব্যস্ত থাকলে জেলার উন্নয়ন হবে না।’
রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিদ হাকিম বলেন, 'দুলাল সরকার নৃশংসভাবে খুন হয়েছে, মমতা ব্যানার্জি পুলিশের সর্বোচ্চ স্তরকে বলেছেন, তদন্ত করে যেই দোষী তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দিতে হবে। এখানে কোনও রকম ভাবে পুলিশ গাফিলতি না করে তা মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন। সিকিউরিটি কবে তোলা হয়েছে আমরা জানতাম না। মুখ্যমন্ত্রীও জানতেন না কেন সিকিউরিটি তোলা হয়েছে, কবে তোলা হয়েছে । মিষ্টিভাষী ছেলে, কে তার পিছনে এই বড় পরিকল্পনা করল, তা খুঁজে বের করতে হবে। সাজা দিতে হবে।'