‘তোমরা বাংলার গর্ব’, কোচ সঞ্জয় সেনকে বিশেষ ধন্যবাদ দিয়ে সন্তোষ জয়ী বাংলা দলের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
আজকাল | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেরলকে হারিয়ে ৩৩ বারের জন্য সন্তোষ ট্রফি এসেছে বাংলার ঘরে। সঞ্জয় সেনের কোচিংয়ে রবি, নরহরিরা ইতিহাস গড়েছেন। বুধবার হায়দরাবাদ থেকে ট্রফি নিয়ে কলকাতায় ফিরেছে বাংলা দল। বিমানবন্দরে তাঁদের স্বাগত জানাতে গিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান কর্তারা। বাংলা দলকে অভিনন্দন জানাতে ভিড় উপচে পড়েছিল। আর বৃহস্পতিবার ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কাপ জয়ের পরই দলকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তিনি। এদিন নবান্ন সভাঘরে কোচ সঞ্জয় সেন এবং বাংলার ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও। ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেখানে তিনি লেখেন, ‘ফুটবল শুধুমাত্র একটি খেলা নয়, বাংলার হৃদস্পন্দন, গর্ব, আবেগ এবং পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বাংলা রেকর্ড ৩৩তম বার সন্তোষ ট্রফি জিতে নেওয়ার পর রাজ্যের অগণিত ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এটা আনন্দের খবর। সেই খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা দেওয়ার সম্মান আমার হয়েছে যাঁরা রক্ত, ঘাম, এবং অদম্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। বিশেষ ধন্যবাদ জানাই কোচ সঞ্জয় সেন, ম্যানেজমেন্ট, এবং প্রশিক্ষণ কর্মীদের, যাঁরা এই ঐতিহাসিক সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন’। বুধবার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস করতালি দিয়ে স্বাগত জানান কোচ সঞ্জয় সেন-সহ বাংলার ফুটবলারদের।
অধিনায়ক চাকু মাণ্ডি, ফাইনালের গোলদাতা রবি হাঁসদার মুখে দেখা যাচ্ছিল হাজার ওয়াটের আলো। কোচ সঞ্জয় সেন জানান, ক্রীড়ামন্ত্রী নিজে বিমানবন্দরে এসে যেভাবে ছেলেদের সম্মান দিয়ে গেলেন, তা ওদের আরও ভাল করতে উদ্বুদ্ধ করবে। আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত জানান, রবি হাঁসদা-সহ বাংলার সন্তোষ জয়ী দলের বাকি সদস্যদের চাকরির ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছেন তিনি। তাঁর এই প্রচেষ্টায় সরকারের সাহায্য চান অনির্বাণ। বছরের শেষ দিনে কেরলকে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফি ঘরে আনেন বাংলার ছেলেরা। গোটা টুর্নামেন্টে কিরণ ছড়িয়েছেন রবি হাঁসদা। অনির্বাণ দত্ত বলছিলেন, ‘রবি গিফটেড প্লেয়ার’। যাঁর সম্পর্কে এত কথা সেই রবি হাঁসদার লক্ষ্য এবার আই লিগ বা আইএসএলে খেলা।