• কলকাতা হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ আরজি করে নির্যাতিতার পরিবার!
    ২৪ ঘন্টা | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই-তদন্তে অনাস্থা। কলকাতা হাইকোর্টের পর এবার সুপ্রিম কোর্টে নির্যাতিতার পরিবার! আগামিকাল, শুক্রবার শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন তাঁরা। সূত্রের খবর তেমনই। 

    ঘটনাটি ঠিক কী? হাইকোর্টের নির্দেশে যখন আরজি করে তরুণী চিকিত্‍সককে খুন ও ধর্ষণের তদন্ত করছে সিবিআই, তখন স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টও। শীর্ষ আদালতের নজরদারিতেই চলছে তদন্ত। কিন্তু সিবিআই তদন্তে অসন্তুষ্ট নির্যাতিতার বাবা-মা।  নতুন করে তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই মামলাটি এখনও গ্রহণ করেনি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চ।

    হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নজরদারিতে তদন্ত চলছে কি না, তা আগে জানা প্রয়োজন। যদি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নজরদারিতে তদন্ত চলে সেক্ষেত্রে সিঙ্গল বেঞ্চ মামলাটি শুনতে পারে না। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ জানুয়ারি। সেদিন মামলাটি গ্রহণ করা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করবে সিঙ্গল বেঞ্চ। ওই পরিস্থিতিতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন আরজি করে নির্যাতিতার পরিবার।

    প্রায় চার মাস পার। আরজি কর কাণ্ডে বিচার মেলেনি না এখনও। উল্টে জামিন পেয়ে গিয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তত্‍কালীন ওসি অভিজিত্‍ মণ্ডল। কীভাবে? প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কিন্তু নিয়মমাফিক ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিচারের দাবিতে ফের পথে নেমেছেন চিকিত্‍সকরা।

    এদিকে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, সিবিআই যেমন বলছে, আমরা সবসময় বাড়ির লোক মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।  আমরা তো কিছু জানি না। সিবিআই বলেছিল আগের থেকে যে, চার্জশিট যখন আমরা দেব, তখন আপনাদের সঙ্গে কথা বলেই চার্জশিট দেব। আমাদের তাও জানা নেই যে শিয়ালদহ কোর্টে চার্জশিট জমা দিয়েছে। ক'দিন ধরে মেসেজ করে যাচ্ছিল, সাপলিমেন্টারি চার্জশিট কবে দেবেন, কিন্তু কোনওরকম কোনও উত্তর দিচ্ছে না।  নব্বই দিনের মাথায় চার্জশিট দেব, আর ২ দিন বাকি! কী করছে, সিবিআই জানে। কিছুটা তো এখন হতাশই মনে হচ্ছে'। 

    নির্যাতিতার বাবা বলেছিলেন, 'আইনগতভাবে আমরা ব্যবস্থা নেব। কাউকে জানিয়ে কোনও লাভ হবে, এটা আমরা বুঝে গিয়েছে। কেউ কোনও সহযোগিতা করবে না। আমার মেয়ে যে মারা গিয়েছে,সবাই মুখেই যত কথা বলছে, আসলে কারোও কোনও চিন্তাভাবনা নেই। যা গিয়েছে, আমাদেরই গিয়েছে আমাদেরই সব ব্যবস্থা করতে হবে'। এরপরই মামলা দায়ের করা হয় হাইকোর্টে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)