সংবাদদাতা, লালবাগ: মাত্র দু’ কিলোমিটার বিকল্প রাস্তা। আর তাতেই সোজা পথে পৌঁছনো যাবে জিয়াগঞ্জ থেকে লালবাগ হয়ে বহরমপুরে। অন্যদিকে, লালবাগ হয়ে জিয়াগঞ্জ। সেই সঙ্গে ঐতিহাসিক হুসেন-ই-দালান দর্শন করতে আর কোনও বাধা থাকল না পর্যটকদের। পর্যটন মরশুমের মাঝেই চালু হয়ে যাবে পিচ মোড়া লালবাগ রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে কাঠগোলাপ বাগান পর্যন্ত দুই কিলোমিটার বিকল্প রাস্তা। মুর্শিদাবাদ পুরসভার চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, নবাব নগরীকে সাজিয়ে তুলতে মুর্শিদাবাদ পুরসভা লাগাতার কাজ করে চলেছে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের পানীয় জল, রাস্তাঘাট প্রভৃতি পরিষেবা দিতে পুরসভা বদ্ধপরিকর। এই রাস্তার কাজ শেষ হলে পর্যটকরা সোজাপথে লালবাগ থেকে জিয়াগঞ্জ পৌঁছতে পারবেন। সেই সঙ্গে নবাব নগরীও যানজট মুক্ত হবে। কাঠগোলাপ বাগান হয়ে লালবাগ রেজিস্ট্রি অফিস যাওয়ার রাস্তাটি অতীতে চালু ছিল। কিন্তু ওই রাস্তাটি দখল করে স্থানীয় মানুষ চাষআবাদ শুরু করেন। এর ফলে ওই সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই সড়ক পথেই রয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম পীঠস্থান হুসেন-ই-দালান। শিয়া সম্প্রদায়ের ওই উপাসনালয়ে জেলা ও জেলার বাইরে থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ প্রতি বৃহস্পতিবার উপস্থিত হন। সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার জন্য পর্যটকদের বেশির ভাগ সেখানে না গিয়ে ফিরে যেতেন। দু’ কিলোমিটার পিচ রাস্তা নির্মাণে সংশ্লিষ্ট দপ্তর মুর্শিদাবাদ পুরসভাকে দু’টি পর্যায়ে ৬৫ লক্ষ এবং ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। রাস্তাটি নির্মাণ হলে বহরমপুর থেকে সোজা পথে জিয়াগঞ্জ পৌঁছনো যাবে। ইস্টার্ন ইন্ডিয়া হোটেলিয়ার্স অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পীযূষ চৌধুরী বলেন, জিয়াগঞ্জ ও আজিমগঞ্জ জেলার দু’টি প্রাচীন শহর। আজিমগঞ্জে আছে দেশের সেরা পর্যটন গ্রাম বড়নগর, জিয়াগঞ্জে জেলা সংগ্রহশালা। এছাড়াও এই দুই শহরে রয়েছে একাধিক দর্শনীয় স্থান।