সব্জির দাম নিম্নমুখী, উৎপাদন খরচ তুলতে নাভিশ্বাস চাষিদের
বর্তমান | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর: সব্জির দাম ক্রমশ নিম্নমুখী। তাই সব্জির উৎপাদন খরচ তুলতেই নাভিশ্বাস উঠছে কৃষ্ণগঞ্জের চাষিদের। মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। মঙ্গলবার সকালে মাজদিয়া বাজারে চাষিরা গলায় একাধিক ফুলকপি বেঁধে বলেন, ‹যখন সব্জির দাম বাড়ে তখন তো সবাই চলে এসে বলে দাম কমাতে হবে। এখন তো দাম খুব কমে গিয়েছে। কই দাদা দিদিরা তো আসছে না।› জানা গিয়েছে, কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়ায় রয়েছে সব্জির পাইকারী বাজার। এখান থেকে ট্রেনে করে শিয়ালদহে সব্জি যায়। তাতে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক ও পাশের হাঁসখালির চাষিরা উপকৃত হন। গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে এই মাজদিয়া বাজারে প্রচুর ফুলকপি, বাধাকপি, শিম, পালংশাক, বেগুন সহ একাধিক শীতকালীন সব্জি প্রচুর পরিমাণে নিয়ে আসছেন চাষিরা। আসলে এবার চাহিদার তুলনায় এই শীতকালীন সব্জি বেশি হয়েছে। তাই চাষিরা এই সব্জি বাজারে এনে উৎপাদন খরচই তুলতে পারছেন না। এমনকি গাড়ি করে বাজারে সব্জি আনার খরচও উঠছে না। চাষিরা পড়েছেন সঙ্কটে। কোনও চাষি বাইরে ঋণ নিয়ে সব্জি চাষ করেছেন, কেউ বা বাড়ির গয়না বন্ধক দিয়ে টাকা ধার করে এই চাষ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে তাদের অবস্থা খুব খারাপ। মাজদিয়া বাজারে ১ টাকা কেজিতে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে। ২ টাকা কেজিতে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে। ৩ টাকা কেজি শিম ও ৬ টাকা কেজিতে বেগুন বিক্রি হচ্ছে। উচ্ছে ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সব্জির ন্যায্য দাম না মেলায় চাষিরা পড়েছেন মহা ফাঁপরে। এ প্রসঙ্গে সব্জি ব্যবসায়ী জয়দেব ঘোষ বলেন, ‹শীতকালীন সব্জির আমদানী এবার প্রচুর হয়েছে। ১ টাকা থেকে ১০ টাকার মধ্যে সব সব্জি ক্রয় হয়ে যাবে। তাই চাষিরা দাম পাচ্ছে না। তাতে চাষিদের খুব ক্ষতি হল।› এ নিয়ে চাষি সুনু হালদার বলেন, ১ টাকা কেজিতে কপি বিক্রি হচ্ছে। শিম, বেগুন, শাক সব কম দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রশাসন এখন দেখুক। এটা জানবেন চাষি না বাঁচলে কেউ বাঁচবেন না।›
এ প্রসঙ্গে আড়তদার খোকন ঘোষ বলেন, এখন কোনও সব্জির দাম নেই। মাঝে জল বৃষ্টি হওয়ায় তখন সব্জি চাষ করা যায়নি। পরে কপি চাষ করা হয়।