তাঁত ও মুখোশ শিল্পকে বাঁচাতে উদ্যোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্তর
বর্তমান | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: গঙ্গারামপুরের তাঁত ও কুশমণ্ডির মুখোশ শিল্পের উন্নয়নে উদ্যোগ নিলেন মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে সম্ভাব্য ক্ষুদ্র শিল্পের পরিবেশ রয়েছে। কুশমণ্ডির কাঠের মুখোশের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ব্লকের কয়েকশো শিল্পী। আবার গঙ্গারামপুরের তাঁত শিল্প একটা সময় জনপ্রিয়তা পেলেও বর্তমানে ধুঁকছে সরকারি উদাসীনতায়। সুকান্তর উদ্যোগে জেলার গঙ্গারামপুর শহরের কালীতলায় একটি বেসরকারি কমিউনিটি হলে কাঠের মুখোশ ও গঙ্গারামপুরের তাঁতিদের নিয়ে সচেতনতা শিবির হল।
কেন্দ্রীয় সরকারের খাদি কমিশনের উদ্যোগে একদিনের সচেতনতা শিবিরে শিল্পীরা নিজেদের হাতের তৈরি শিল্পকে উপস্থাপন করেন। খাদি কমিশনের মাধ্যমে জেলার ক্ষুদ্র শিল্পীদের উৎসাহিত করতে প্রধানমন্ত্রী কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৫ শতাংশ ও ২৫ শতাংশ হারে ভর্তুকি ঋণ কীভাবে পাওয়া যায় সে ব্যাপারে আলোচনা হয়।
ইতিমধ্যে জেলার বহু শিল্পী ভর্তুকিতে ঋণ নিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদি কমিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর এপি চৌবিন সহ জেলা ও ব্লকের আধিকারিকরা। গঙ্গারামপুরের তাঁতিদের করুণ দশা। অধিকাংশ শিল্পী নিজেদের পেশা বদলে ফেলেছেন। শিল্পীদের বক্তব্য, তাঁত শিল্প বাঁচাতে কেন্দ্রের সাহায্য প্রয়োজন। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে গঙ্গারামপুরের তাঁত শিল্পকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত জানান। মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে আমি খাদি মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলছি, গঙ্গারামপুরের তাঁতিদের দুর্দশা ঘোচানোর জন্য। আগামী দিনে খাদি কমিশনের মাধ্যমে উন্নত প্রশিক্ষণ ও শিল্পীদের তৈরি সামগ্রী যাতে খুব সহজেই বাজারজাত হয় যায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এতদিন পর তাঁত ও মুখোশ শিল্পীদের দিকে নজর পড়ল কেন্দ্রের? কটাক্ষ তৃণমূলের। জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, এতদিনে জেলায় কাঠের মুখোশ ও তাঁতিরা কী সুবিধে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে, তা কেউ বলতে পারবেন না। গঙ্গারামপুরের তাঁত ও কুশমণ্ডির মুখোশ শিল্পীদের তৈরি সামগ্রী দেখছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।-নিজস্ব চিত্র