• বিঘোরের বেগুনের ফলন কমে অর্ধেক, চিন্তা চাষিদের
    বর্তমান | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ: আকৃতিতে বদল, রং কিছুটা অন্যরকম। স্বাদও যেন কিছুটা বদলেছে। শীত পড়তেই রায়গঞ্জের বাজারে সুস্বাদু বিঘোরের বেগুনের দেখা মিললেও দাম গতবারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। বেগুন উৎপাদনকারীদের কথায়, প্রতি বছর মরশুমের শুরুতে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বেগুন। সেই সময় বড় আকৃতির এই বেগুনের ওজন থাকে ৪০০ থেকে ৭০০ গ্রাম। ডিসেম্বরের শেষের দিকে বেগুনের দাম নেমে আসে ৩০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কেজি, তখন ওজন হয় ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজির উপরে। কিন্তু এবার ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের বেশি আকারের বেগুন উৎপাদন হচ্ছে না। ফলন অনেক কম হওয়ায় ৫০ টাকার নীচে নামছে না দামও। কিন্তু এবছর ফলন কম কেন? চাষি শেখ কলিমুদ্দিন বললেন, এবার বন্যার কারণে ঠিক সময়ে চারা লাগানো যায়নি। তারপর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় চারাগাছ নষ্ট হয়েছে। এখন বেগুনের পাতা হলদে হয়ে যাচ্ছে। আগে বিঘা প্রতি গড়ে দেড় কুইন্টাল বেগুন হতো। এখন সেটা ৮০ কেজি হয়েছে। এবার সব চাষি বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

    নাগর নদী লাগোয়া বিহারের বিঘোর এলাকায় প্রথম চাষ শুরু হওয়ায় নাম বিঘোরের বেগুন। পরবর্তীতে বিঘোর এলাকা থেকে চারা নিয়ে এসে এপার বাংলার রায়গঞ্জ ব্লকের ভিটাহার সহ  দুবদুয়ার, নয়াটুলি, ভিটিয়ার গ্রামে চাষ শুরু হয়। তবে চাষিদের সঙ্গে মন খারাপ খাদ্য রসিকদেরও। রায়গঞ্জের বাসিন্দা প্রকাশ কর বলেন, বাজারে বিঘোরের বেগুন বলে অন্য বেগুন বিক্রি হচ্ছে। তাই কলকাতার আত্মীয়দের জন্য আসল বেগুন কিনতে গ্রামে গিয়েছিলাম। কিন্তু এবার ভালো বেগুন পাচ্ছি না, দামও বেশি। স্বাদও মনে হচ্ছে কিছুটা বদলেছে। কৃষকদের ক্ষতি প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা প্রিয়নাথ দাস বলেন, বেগুনের চারা পোকায় সংক্রামিত হয়েছিল। তবে এবছর সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে চাষিদের। যেসব গাছ ভালো আছে, ভালো করে নেটিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেই গাছ থেকে চারা তৈরি করে পরের বছর ব্যবহার করা হবে। এছাড়া আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বেগুন চাষে ক্ষতি হয়েছে বলে এবার দামটা একটু বেশি।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)