• আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে শুরু ১৯তম বিশ্ব ডুয়ার্স উৎসব
    বর্তমান | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: বৃহস্পতিবার থেকে আলিপুরদুয়ার জেলা শহরের  প্যারেড গ্রাউন্ডে শুরু হল ১৯তম বিশ্ব ডুয়ার্স উৎসব। এই উৎসব চলবে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত। এদিন উৎসবের সূচনা করেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। 

    ডুয়ার্স উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রিয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী, রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক, জেডিএর চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক আর বিমলা ও পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশীও। 

    মন্ত্রী বলেন, বাংলার মানুষ ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত উৎসবে মেতে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উৎসবের মাধ্যমে মানুষের কাছে আমাদের পৌঁছনোর রাস্তা দেখিয়েছেন। বিশ্ব ডুয়ার্স উৎসব শুধু ডুয়ার্সেই সীমাবদ্ধ নেই, এই উৎসবের খ্যাতি রাজ্য ও দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। আমরা তারজন্য গর্বিত ও আনন্দিত। 

    উৎসবের স্বাগত ভাষণে উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, গতবছর ডুয়ার্স উৎসবে ৭০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। ডুয়ার্স উৎসবে পসরা সাজিয়ে জিনিসপত্র বিক্রি করে কয়েক হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়। আশা করছি, এ বছর উৎসবের এই বিক্রি আরও বাড়বে। 

    উৎসবে এক্সপোর পাশাপাশি সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে দু’হাজার স্টল দেওয়া হয়েছে। উৎসবে প্রতিদিন কলকাতা, মুম্বই ও উত্তরবঙ্গের নামী-দামি শিল্পীরা সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন। এ বছর উৎসবে পাঁচ হাজার শিশুশিল্পী প্রতিযোগিতা ও আমন্ত্রণমূলক অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। উৎসবে মূল মঞ্চ ছাড়াও শিশু ও আদিবাসীদের জন্য আরও দু’টি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। 

    ১১ দিনের এই উৎসবে প্রথম দিন থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে। তবে এ বছর বাংলাদেশের স্টল না থাকায় অনেকেরই মন খারাপ। কেননা বিগত উৎসবগুলিতে বাংলাদেশের স্টল থেকে ঢাকার বিখ্যাত জামদানি শাড়ি কিনতে ওই দেশের স্টলে ভিড় জমত। হাসিনা দেশ ছাড়ার পর ওপার বাংলা অশান্ত। তাই ব্যবসায়ীরা এবার ডুয়ার্স উৎসবে আসতে পারলেন না। এবার উৎসবে টি হাব তৈরি করা হয়েছে যাতে চা বিক্রেতাদের মেলায় ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করতে না হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)