• চন্দ্রপাড়া হাসপাতালের জমি দখল করে চাষবাস, ব্যবসা
    বর্তমান | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: কোথাও চলছে সব্জি চাষ, আবার কোথাও নির্মাণ সামগ্রী রেখে চলছে ব্যবসা। মালদহের চাঁচল ২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া হাসপাতালের জমি এভাবেই স্থানীয়দের একাংশের দখলে চলে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের জমি পরিদর্শনে গিয়ে অবাক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। মালদহের চাঁচল ২ ব্লকের মহানন্দা নদী তীরবর্তী এলাকা চন্দ্রপাড়া হাসপাতালে এক সময় অন্তর্বিভাগে চিকিৎসা চলত। কয়েকহাজার পরিবারের চিকিৎসার ভরসা ছিল সেই হাসপাতাল। 

    ১৯৯২ সালে এলাকা বন্যার জলে প্লাবিত হওয়ায় হাসপাতালের সেই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। তিন দশক ধরে সেই পরিষেবা আজও বন্ধ। সেই সুযোগে হাসপাতালের প্রায় ২ একর জমি স্থানীয়দের একাংশের দখলে চলে গিয়েছে। অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার পরিদর্শনে যান চাঁচল ২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ইকবাল হোসেন। সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য আব্দুল হাই, পঞ্চায়েত প্রধান ছবি সরকার ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান মহম্মদ আলি জিন্নাহ প্রমুখ। গ্রামবাসীদের নিয়ে বৈঠক করেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। বাসিন্দাদের অভিযোগ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিএমওএইচ।

    স্থানীয় আসমিন পারভেজ বলেন, ত্রিশ বছর আগে বন্যা হওয়ার পর হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ বন্ধ হয়েছে। রাতে মালতীপুর হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে হলে এলাকার মানুষ সমস্যায় পড়েন। গাড়ি পাওয়া যায় না। এখানে ইন্ডোর পরিষেবা চালু হোক। আরেক বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবনে রাতে অসামাজিক কাজকর্ম চলে। আলোর ব্যবস্থা নেই এখানে। জমি খুঁড়ে মাটি চুরি হচ্ছে। কেউ আবার হাসপাতালের জমি দখল করে চাষাবাদ শুরু করেছে। সবটাই প্রশাসনিক খামখেয়ালিপনায় হচ্ছে। জেলাপরিষদ সদস্য আব্দুল বলেন, দ্রুত সোলার লাইট বসানো হবে। হাসপাতাল বাঁচাতে এলাকার মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, দখলদারদের সতর্ক করা হয়েছে। সীমানা প্রাচীর ও হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ চালুর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানানো হবে। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বলেন, দ্রুত দখলমুক্ত না হলে আমরা আইনের পথে হাঁটব।   হাসপাতালের জমি দখল করে রাখা হয়েছে নির্মাণ সামগ্রী।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)