নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মদ্যপ যুবকদের তাণ্ডবে আতঙ্ক ছড়াল নরেন্দ্রপুর থানার রানিয়া অঞ্চলে। বুধবার ভোররাতে প্রায় ২০-২৫ জন যুবক অরবিন্দনগরে মানিক সাহু নামে এক ব্যক্তি ও আরেক ব্যবসায়ীর কারখানায় হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে কারখানার বেশ কয়েকজন কর্মীকেও। এই ঘটনা নিয়ে বুধবার সকালে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্তের পরিবার। কিন্তু কেন এই তাণ্ডব, তা অবশ্য জানা যায়নি। পুলিস সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, সম্ভবত পুরনো বিবাদের জেরে এই হামলা।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে। ওইদিন রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ একদল যুবক প্রথমে মানিকবাবুর বাড়ির সামনে এসে গালিগালাজ করতে শুরু করে। অভিযোগ, এরপর তাঁর বাড়ির দরজায় লাথি মারে। ভয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়েন বাড়ির লোকজন। বারান্দা দিয়ে দেখেন, মদ্যপ যুবকরা মারমুখী হয়ে দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে। শেষমেশ দরজা ভাঙতে না পেরে বাড়ির বাইরে থাকা তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। ফেলে দেওয়া হয় কয়েকটি বাইকও। অন্যদিকে, সুরজ কুমার নামে স্থানীয় ব্যবসায়ীর চিপসের কারখানায় ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেখানে কর্মরত কয়েকজন কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। ব্যবসায়ীর দাবি, ক্যাশ বাক্স ভেঙে লক্ষাধিক টাকা লুট করেছে তারা।
হামলাকারীদের সঙ্গে শাসকদলের যোগ রয়েছে বলে জল্পনা তৈরি হয়। সুরজবাবুর দাবি, যারা মারধর করেছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তারা সকলেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। যদিও এই ঘটনায় দলের কেউ জড়িত নয় বলে জোর গলায় জানিয়েছেন কাউন্সিলার দেবব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, হামলাকারীরা কেউই দলের সদস্য নয়। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিস বিষয়টি দেখছে। তারা তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করবে। নিজস্ব চিত্র