• দেগঙ্গায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে বিদ্যুতের সাব স্টেশন
    বর্তমান | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: যতদিন যাচ্ছে, ততই চাহিদা বাড়ছে বিদ্যুতের। বারাসত মহকুমায় দেগঙ্গা এলাকায় এক সময় লোডশেডিং ছিল মাথাব্যাথার কারণ। দরকার ছিল ইলেকট্রিক সাব স্টেশনের। জমিজটের কারণে এতদিন সাব স্টেশন তৈরি করা যাচ্ছিল না। অবশেষে দেগঙ্গা থানার পাশে জেলা পরিষদের জায়গায় সাব স্টেশন তৈরির জমি মিলেছে। এর জন্য খরচ হবে প্রায় ২০ কোটি টাকা। চলতি মাসেই এই কাজ শুরু হবে। ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের যন্ত্রণা থেকে কয়েক হাজার মানুষ মুক্তি পাবেন বলে আশাবাদী দপ্তর। প্রতি বছর গরমের সময় বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। মূলত, অতিরিক্ত চাহিদার কারণেই লোডশেডিং বেশি হয়। দেগঙ্গা এলাকায় এই সমস্যা সব থেকে ভয়ঙ্কর বলে দাবি স্থানীয়দের। কখনও এক ঘণ্টা, কখনও দু’ঘণ্টারও বেশি সময় লোডশেডিং থাকে বিস্তীর্ণ এলাকায়। ফলে, গরমে নাকাল হন মানুষ। বিদ্যুৎ দপ্তর এখানে সাব স্টেশন তৈরি করতে উদ্যোগী হলেও পিছিয়ে যায় জমির অভাবে। বারাসত ডিভিশনের কর্তারা দফায় দফায় এলাকায় গিয়ে বৈঠক করেন। পরিদর্শন করেন এলাকা। অবশেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে দেগঙ্গা থানার পাশে জেলা পরিষদের প্রায় ২৫ কাঠা জায়গার হদিশ মেলে। সাব স্টেশন তৈরি করার জন্য এই জমি উপযুক্ত বলেই জানা গিয়েছে। পরিদর্শনের পর সাব স্টেশনের নকশাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। জেলা পরিষদ এনওসি দিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তরকে। দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, এই সাব স্টেশনে থাকবে দু’টি ১০ এমভিএ’র ট্রান্সফর্মার। ফলে অন্তত ১৫ হাজার বাড়িতে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। আশা করছি, আগামী বছর গরমের সময় এই এলাকার বাসিন্দাদের আর গলদঘর্ম হতে হবে না। এর জন্য রাজ্য সরকার মোট ২০ কোটি টাকা ব্যয় করবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন, মানুষের স্বার্থেই আমরা দপ্তরকে জমি দিয়েছি। আশা করি আগামীতে দেগঙ্গার মানুষকে সমস্যায় পড়তে হবে না।
  • Link to this news (বর্তমান)