• তৃণমূল নেতা খুনে পুলিশকে বিঁধলেন মমতা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • দোকানে ঢুকে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি। মৃত্যু হল তৃণমূলের মালদহ জেলা সহ-সভাপতি তথা ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর দুলালচন্দ্র সরকার ওরফে বাবলার। এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত দোষীদের শাস্তির পাশাপাশি দলের শীর্ষ নেতাদের মালদহ যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    বৃহস্পতিবার সকালে ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়ার কাছে নিজের প্লাইইড কারখানার কাছে দাঁড়িয়েছিলেন দুলাল। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সেই সময় বাইকে চেপে আসা তিন জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। একটি গুলি লাগে তাঁর মাথার কাছে। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

    ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, আমার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা বাবলা সরকার আজ খুন হয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের শুরু থেকেই তিনি (এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালি সরকার) দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং বাবলা কাউন্সিলরও নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঘটনাটি জানার পর আমি মর্মাহত ও মর্মাহত। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে। আমি এতটাই মর্মাহত এবং দুঃখিত যে আমি কীভাবে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা জানাব, তা আমি জানি না। ঈশ্বর চৈতালীকে বেঁচে থাকার এবং যুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দিন।

    রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সাবিনা ইয়াসমিনকে মালদহে যাওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীরা সবাই মুখে কাপড় বেঁধে এসেছিল। রাজনৈতিক কারণে এই হামলা নাকি এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে ব্যবসায়িক গন্ডগোল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
    এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)