এ দিন কালচিনি থেকে রাঙামাটি যাওয়ার পথ একপাল হাতি অবরোধ করে রেখেছে বলে খবর আসে বন দপ্তরের কাছে। খবর পেয়ে বুনোদের জঙ্গলে ফেরাতে ছুটে যান বনকর্মীরা। হাতির পাল দেখতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন শয়ে শয়ে মানুষ। তাঁদের চিৎকার–চেঁচামেঁচিতে গজরাজ বাহিনীর মেজাজ বিগড়ে যায়। মাঝে মাঝেই তেড়ে আসতে থাকে। খবর পেয়ে জনতার ভিড় সামাল দিতে ছুটে আসে পুলিশ বাহিনী। উৎসাহী মানুষদের সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।
এক সময় পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যে, পুলিশকে লাঠি নিয়ে তাড়া করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে হয়। এত মানুষের ভিড় আর কোলাহলে হাতির দলটি প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে পড়ে। মুহুর্মুহু চিৎকারে তাদের ক্রোধের জানান দিতে থাকে৷ বিপদ আঁচ করে পুলিশ ও বনকর্মীরা উপস্থিত মানুষজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যেতে তৎপর হয়ে ওঠে। আচমকাই দলের একটি হাতি মদনকে নাগালে পেয়ে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বনরক্ষীর।
হাতিদের খপ্পর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করতে বেশ বেগ পেতে হয় বনকর্মীদের। কিছুক্ষণ পর শান্ত হয়ে জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে যায় বুনোরা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অকুস্থলে আসেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প পশ্চিমের উপক্ষেত্র অধিকর্তা হরিকৃষ্ণান পিজে–সহ অন্য বনাধিকারিকরা। হরিকৃষ্ণান বলেন, ‘আমরা সরকারি নিয়ম মেনে মৃত বনরক্ষীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেব। পাশাপাশি ওই পরিবারের একজনের চাকরির ব্যবস্থা করতে বিভাগীয় সুপারিশ করা হবে।’