গত রবিবার আম্বেদকার রেসিডেন্সিয়াল জুনিয়র হাইস্কুলের সামনে একটি ছাগলের ক্ষতবিক্ষত দেহ মেলে। সেদিন রাতেই আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় চিতাবাঘের রাস্তা পারাপারের ভিডিয়ো। এরপরই চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় দুই স্কুল। বৃহস্পতিবার বনকর্মীদের পাহারায় খোলা হয় স্কুল, তবে পড়ুয়াদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য। এদিন বানারহাট বিডিও’র তরফে চার জন সাফাইকর্মী পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা স্কুলের ভিতরে জঙ্গল পরিষ্কার করেন।
এ ছাড়া দু’টি স্কুলেই ট্র্যাপ ক্যামেরা বসিয়েছে বন দপ্তর। আম্বেদকর স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাজেশকুমার যাদব বলেন, ‘চিতাবাঘ নিয়ে দারুণ আতঙ্কে রয়েছি। তিন দিন স্কুল বন্ধ রাখার পর বনকর্মীদের উপস্থিততে আজ স্কুল খুলেছি। বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার ও কর্মীরা এসেছিলেন। তাঁরা গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। পটকা ফাটিয়ে চিতাবাঘের খোঁজ চালান।’
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র তানজিন আলি বলে, ‘চিতাবাঘ আমাদের একটা ছাগল মেরেছে। স্কুলের চারপাশে এত জঙ্গল যে, এর ভিতরে চিতাবাঘ থাকতে পারে। বাবা–মা স্কুলে আসতে দিতে চাইনি। তবু তিন দিন পর আজ স্কুলে এলাম।’
বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার হিমাদ্রি দেবনাথ বলেন, ‘ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কিন্তু চিতাবাঘের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পাশে চা বাগান রয়েছে, সেখান থেকে বুনোটি এসে থাকতে পারে। স্কুলের ভিতরে যে পরিমাণে জঙ্গল রয়েছে, তা চিতাবাঘের থাকার জন্য উপযুক্ত।’