• কবে হবে মাস্টারপ্ল্যানের কাজ, রিপোর্ট চাইল কোর্ট
    এই সময় | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: চার দশক পেরোলেও ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে টানাপড়েন আর শেষ হচ্ছে না।ঘাটালে বন্যা নিয়ন্ত্রণ চেয়ে দায়ের জোড়া জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের সেচ দপ্তরের কাছে জানতে চাইল, ঘাটালের বন্যা নিয়ন্ত্রণে ঠিক কী করতে চায় সরকার? যা করার, সেটা আগামী বর্ষার আগেই করা জরুরি বলেও জানিয়েছে বেঞ্চ।

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কত দিনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে, তার জন্যে কী কী পরিকল্পনা করা হয়েছে — এর বিস্তারিত তথ্য ৬ সপ্তাহের মধ্যে সেচ দপ্তরের সচিবকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে হাইকোর্টে।

    বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে একটি রিপোর্ট জমা পড়ে আদালতে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে অসন্তুষ্ট প্রধান বিচারপতির তীর্যক মন্তব্য, ‘এই রিপোর্টে লেখা আছে, বন্যার পরে আপনারা কত শাড়ি, বিছানার চাদর, লুঙ্গি, শিশুখাদ্য বিতরণ করেছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা কী ভাবে করেছেন, সেটা লেখা আছে। তবে মাস্টারপ্ল্যান কী ভাবে কার্যকর হবে বা কী ভাবে বন্যা প্রতিরোধ হবে, সে বিষয়ে কিছুই লেখা নেই। অথচ বন্যায় যাতে মানুষকে ভুগতে না হয়, সেটার জন্যেই আগে ব্যবস্থা করা উচিত।’

    তার কোনও কিছুই রিপোর্টে প্রতিফলিত হয়নি — এমনটাই পর্যবেক্ষণ বেঞ্চের। এমনকী মাস্টারপ্ল্যানের প্রসঙ্গ ওই রিপোর্টে না থাকায় বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ‘আপনাদের অনেক কাজ করতে হবে। যন্ত্র কোথায় বসবে? কত এলাকা দখলমুক্ত করতে হবে। সেই তথ্য কোথায়?’ প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, ‘প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ ভালো।’

    আবেদনকারীর আইনজীবীর দাবি, ১৯৫৯–থেকে ঘাটালে বন্যার সমস্যা চলছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের ৫০ শতাংশ করে আর্থিক অনুদানে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হওয়ার কথা। তবে অভিযোগ, কেন্দ্র অর্থ দিলেও, রাজ্য গত ৪০ বছরে কিছুই করছে না। এই সূত্র ধরেই প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘কাজ হবে কবে? এত কাজ হতে হতে তো পরের বছরের বন্যা শুরু হয়ে যাবে!’

  • Link to this news (এই সময়)