দুলালকে খুনের ‘সুপারি’ দেওয়া হয়েছিল বিহারের দুষ্কৃতীদের? উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে, শুক্রবার সকালে কাউন্সিলার খুনের ঘটনা নিয়ে রীতিমতো বোমা ফাটান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তাঁর দাবি, এই ঘটনায় বিহার-যোগ রয়েছে। ১০ লক্ষ টাকার ‘ডিল’ হয়েছে।
গত বছর নভেম্বর মাসে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষের বাড়ির সামনে তাঁকে লক্ষ্য করেও গুলি ছোড়া হয়েছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে বিহারের একটি কুখ্যাত গ্যাংয়ের যোগ পাওয়া গিয়েছিল। এ বার দুলালের মৃত্যুর ঘটনাতেও কাটিহারের সামির গ্রেপ্তারের ঘটনা বিহার-যোগের ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদিও পুলিশের তরফে এখনও স্পষ্ট করে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গ থেকে নিহত দুলাল সরকারের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। এরপর স্থানীয় সুকান্ত স্মৃতি সংঘ ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয় নিহত কাউন্সিলারের দেহ। জানা গিয়েছে, জেলায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়েও নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর দেহ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দোকানে যাওয়ার পথে ৩ দুষ্কৃতী রাস্তা থেকে ধাওয়া করেছিল বাবলা সরকারকে। দোকানে ঢুকে পড়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা। কিন্তু সেখানেই তাকে গুলি করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ দিকে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ায় প্রত্যক্ষদর্শীরা দুষ্কৃতীদের কাছে ঘেঁষতে সাহস পাননি। আর সেই সুযোগেই ঘটনাস্থল ছাড়ে তারা। এই গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের ‘অপদার্থতা’-র জন্য এই ঘটনা ঘটেছে বলে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।