এ দিনের প্রশাসনিক বৈঠকে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের উদ্দেশ করে মমতা বলেন, ‘তাজপুরের সমুদ্র বন্দরটা দেখতে হবে। যদি ওটা না হয়, তা হলে আমাদের গ্লোবাল টেন্ডার করতে হবে। তার জন্য আইনি পরামর্শ নাও।’ তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির জন্য শুরুতে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। তাঁর সঙ্গে নবান্নে বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে রাজ্য মন্ত্রিসভার সবুজ সঙ্কেত পেয়ে আদানি গোষ্ঠীর হাতেই বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সেইমতো আদানি গোষ্ঠীও রাজ্য সরকারকে তাদের বন্দরে কাজ করার ইচ্ছাপত্র বা লেটার অফ ইনটেন্ট জমা দেয়। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫ হাজার কোটি বিনিয়োগে আগ্রহ দেখায় আদানিরা। পরে কেন্দ্রকে রাজ্য বিষয়টি জানালে কেন্দ্র চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, ওই সংস্থার কাজে কোনও ত্রুটি ধরা পড়লে তার দায় রাজ্য সরকারের। এরই মধ্যে বিতর্কে জড়ায় আদানি গোষ্ঠী। তার পরেই বিশ বাঁও জলে পড়ে ওই প্রকল্প। মমতার বৃহস্পতিবারের মন্তব্যের পরে ওই প্রকল্প নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়েছে।