লক্ষ্য ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন, এপ্রিল মাসে সিপিএমের ব্রিগেড সমাবেশের ডাক
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সিপিএম। আগামী ১৭ জানুয়ারি বসুর প্রয়াণদিবস। সেদিন নিউটাউনে ‘জ্যোতি বসু সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’–এর অংশবিশেষের উদ্বোধন হবে। সেখানেই ‘বিশেষ অতিথি’ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে। যিনি বাংলাদেশের নাগরিক। সুতরাং একটা বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তার উপর আবার এপ্রিল মাসে চরম গরমে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে সিপিএম। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এখন সিপিএমের শূন্যতা কাটেনি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকেই রাজ্য–রাজনীতিতে শূন্য হয়ে গিয়েছে সিপিএম। তারপর থেকে আর সংখ্যা উপরে ওঠেনি। তাই এবার নতুন উদ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াই বড় কথা। সেই মতো নতুন বছরে সিপিএমের চিরাচরিত ঐতিহ্য মেনে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সংগঠনে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে। তবে দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি বলেই সূত্রের খবর। কৃষক, শ্রমিক, খেতমুজর এবং বস্তি সংগঠনের ডাকে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে ব্রিগেড সমাবেশ আয়োজনের বিষয়টি ঠিক হয়েছে।
অন্যদিকে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ব্রিগেড সমাবেশ করতে চলেছে সিপিএম। পার্টির সিটু, কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনকে এই সমাবেশের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে জানুয়ারি মাসে শেষবার ব্রিগেড সমাবেশ করেছিল সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। মীনাক্ষী, সৃজন, প্রতীকুরদের সেই সমাবেশ থেকে বড় আওয়াজ উঠলেও লোকসভা নির্বাচনের ভোটবাক্সে ফলাফল সেই শূন্য। বরং নতুন প্রজন্মের যে নেতারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, তাঁদের সবারই জামানত জব্দ হয়েছিল। এবার তেড়েফুঁড়ে নামতে আগামী ২০ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু বলেন, ‘গরিব মানুষের পেটে লাথি মেরেছে তৃণমূল–বিজেপি। তাই গরিব মানুষের হক আদায়ে ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।’
এছাড়া কয়েক মাস পর বেশ কয়েকটি পুরনিগমের নির্বাচন রয়েছে। সেখানেও যাতে দাগ কাটা যায় সেই চেষ্টা করছে সিপিএম। এপ্রিল মাসের পর পুরনিগমগুলির নির্বাচন হলে ব্রিগেড সমাবেশ থেকে বার্তা দেওয়া হবে। এই ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে একদফা আলোচনা হয়েছে দলের অন্দরে। তবে প্রশ্ন উঠছে, ব্রিগেডের মাঠ ভরানো জনতা কি সিপিএমের ভোটবাক্সে সাড়া দেবে ২০২৬–এর নির্বাচনে? ২০০৭ সাল থেকে বঙ্গে সিপিএমের রক্তক্ষরণ শুরু হয়। ২০১১ সালে তা মারাত্মক আকার নেয়। সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি এখনও। সদ্য উপনির্বাচনেও সেই দশা দেখা গিয়েছে।