উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসে তৃণমূল নেতা তথা পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কুরবান শাকে গুলি করে খুন করার ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। নবমীর রাতে দলীয় কার্যালয়ে খুন হয়েছিলেন কুরবান। সে দিন তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা ছুটিতে ছিলেন। সেই সুযোগে কুরবানকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় মৃত্যু হয় এই নেতার। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আনিসুর রহমান ও আরও অনেককে। যদিও আনিসুরের পরিবার একাধিকবার দাবি করেছিলেন, তিনি নির্দোষ। আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছিল।
২০২১-এর ২৬ ফেব্রুয়ারি আনিসুরের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। তমলুক দায়রা আদালত রাজ্যের সেই আবেদন মঞ্জুর করলেও সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য কুরবানের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজ্যের সেই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়।
এরপর জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নেড়েছিলেন আনিসুর রহমান। সর্বোচ্চ আদালতে স্বস্তি পেলেন তিনি।
উল্লেখ্য, আনিসুর রহমান সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের পাঁশকুড়া জোনাল সম্পাদক পদে ছিলেন বাম জমানায়। কিন্তু সেই সময় তাঁকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করেছিল বাম নেতৃত্ব। ২০০৬ সালের শেষ দিকে তিনি যোগদান করেন তৃণমূলে। ২০১২ সালে তিনি পাঁশকুড়া পুরসভার কাউন্সিলার হয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খানের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য হওয়ার কারণে পূর্ত বিভাগের দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরানো হয়েছিল। পরে তৃণমূল তাঁকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করার পর মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন আনিসুর। বিজেপিতে থাকাকালীনই আনিসুরের বিরুদ্ধে কুরবানকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল।