• ভাঙড়কে শান্ত রাখার আর্জি অভিষেকের, কড়া বার্তা পুলিশকে
    এই সময় | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, ভাঙড়: দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভাঙড়ে গন্ডগোল হয়েছে তৃণমূলের দুই শিবিরের মধ্যে। আক্রান্ত হয়েছেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর গাড়ি। এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে হাতিশালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আরাবুল।

    সেই ঘটনায় বুধবার ডায়মন্ড হারবারে একটি সভা থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন তিনি বলেন, ‘ভাঙড়ে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। ভাঙড় এখন কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত। পুলিশকে অনুরোধ করব, কঠোর ভাবে এদের সঙ্গে ডিল করে এরা যে ভাষা বোঝে সেই ভাষায় উত্তর দেওয়া।’

    এ দিন ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বলেন, ‘কোথাও যদি কোনও ঘটনা ঘটে পুলিশ প্রশাসনের উচিত রং না দেখে অত্যন্ত কঠোর ভাবে এর মোকাবিলা করা। তৃণমূল আমলে দলের অনেক লোকের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই আরাবুল ইসলামকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার জেলে ঢুকিয়ে ছিল। অন্য কারও সরকার ঢোকায়নি। জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের আমলে সিপিএমের কোনও নেতা জেলা গিয়েছেন এমন উদাহরণ দেখাতে পারবেন না।’

    তবে অভিষেকের এই বার্তার পর আদৌ ভাঙড়ে শান্তি ফিরবে কিনা সেই প্রশ্নই তুলছেন ভাঙড়বাসী। এই মুহূর্তে ভাঙড়ের ভূমিপুত্র আরাবুল কোণঠাসা পরিস্থিতি থেকে পায়ের তলায় জমি শক্ত করতে চাইছেন। অন্যদিকে, টানা দু’বছর ভাঙড়ে সংগঠন তৈরি করে লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটের লিড পেয়ে তাঁকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ শওকত মোল্লা। দুই নেতার দ্বন্দ্বে দিশাহীন নিচুতলার কর্মীরা। যার জেরেই বুধবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে হেনস্থা হন আরাবুল।

    এ প্রসঙ্গে আরাবুল বলেন, ‘আমি চাই ভাঙড়ে শান্তি বজায় থাকুক। আমি জেল থেকে ফেরার পর কোনও রকম অশান্তি করিনি। তিন-চারটে ঘটনায় আমার ছেলেরা মার খেয়েছে, আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে তা সত্ত্বেও আমি চুপ করে সব হজম করেছি। কারণ আমি চাই এলাকায় শান্তি ফিরুক। যারা আমার গাড়ি ভাঙচুর করেছে তাদের নামে পুলিশে অভিযোগ করেছি। পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিক, এটাই অনুরোধ।’

    বুধবারের ঘটনায় আরাবুল থানায় অভিযোগ করেন, শওকতের নির্দেশে তাঁর উপরে হামলা করা হয়েছিল তাঁকে খুন করার উদ্দেশ্যে। এই ঘটনার জন্য হাতিশালা এলাকার তৃণমূল নেতা সাবির শেখ, মণি সাঁপুই–সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন আরাবুল। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করেনি। শওকত মোল্লা বলেন, ‘আমার নামে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাতে আমি দোষী কি না পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’

    আরাবুলের উপরে হামলা প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘একটা অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)