চলতি মাসেই খোলামুখ খনির কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি চলবে ভূগর্ভস্থ খনির কাজও। দেউচা পাঁচামির কয়লাখনির কাজের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকের পরেই এ কথা জানান রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই নবান্নে দেউচা পাঁচামি প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে শুক্রবার বৈঠক করেন মুখ্যসচিব।
এ দিন মহম্মদ বাজারের পঞ্চায়েত দপ্তরের অফিসে দেউচা পাঁচামি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, জেলাশাসক বিধান রায়, এডিজি (পশ্চিমাঞ্চল) অশোক প্রসাদ, ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) শ্যাম সিংহ, জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব জানান, যত কম মানুষকে উচ্ছেদ করে কয়লা তোলা যায়, তার ব্যবস্থা হবে। প্রথম পর্যায়ে খোলামুখ খনি হলেও একই সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ড কাজও চলবে। এ মাসের শেষেই শুরু হবে খোলামুখ খনির কাজ। পাশাপাশি জমিহারাদের চাকরি দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও যথাযথ অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানা তিনি।
জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘দেউচা পাঁচামির জন্য জমি নিলে খাপছাড়া করে কেন নেওয়া হচ্ছে? উৎপাদন শুরুর আগে যাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন দেখে নাও৷’ কয়লাখনি প্রকল্পের জন্য জমির সঠিক মূল্য ও চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলে ইতিমধ্যে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মুখ্যসচিব। স্থানীয় আদিবাসীদের সঙ্গে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনি হতে চলেছে দেউচা পাঁচামি। কয়লাখনি প্রকল্পের জন্য মোট প্রতি ৩৪০০ একর জমি নেওয়ার কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। ২০২১ সালেই এই প্রকল্পের জন্য ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের প্যাকেজ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল।