ভিরমি খাওয়ার দরকার নেই, এই রাজা আসলে আস্ত পাঁঠা-ই। চুঁচুড়া বুনোকালিতলা বালিপুকুরের বাসিন্দা বাবলু ওঁরাও রাজাকে পেয়েছিলেন ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি। শীতের রাতে বলির জন্য উৎসর্গ করা একটি পাঁঠা কোনওভাবে তাঁর বাড়ির সামনে চলে আসে। নিঃসন্তান বাবলু এরপর থেকেই রাজাকে যত্নেই রেখেছেন তিনি। আর এই পাঁঠার প্রাপ্তিযোগের এক বছরের মাথায় তিনি তার জন্মদিন পালনের পরিকল্পনা করেন।
বাবলুর কথায় উৎসাহী হন তাঁর বন্ধুরাও। তাঁদের যুক্তি ছিল, যদি কুকুর, বেড়ালের ধুমধাম করে জন্মদিন, এমনকী বিয়ে পর্যন্ত হতে পারে তাহলে পাঁঠার ক্ষেত্রে অসুবিধা কোথায়! যেমন ভাবা তেমন কাজ। ধুমধাম করে পোষ্য রাজার জন্মদিনের আয়োজন করেন বাবলু। মেনুও ছিল এলাহি। ভাত, ডাল, চিপস, মুরগি মাংস, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি। নিমন্ত্রিতও ছিলেন কমপক্ষে শ’খানেক। রাজাকেও সাজানো হয় নতুন পোশাকে। লাল রঙের ‘নতুন জামা’ পরেছিল সে। কেক কাটতেই হাততালির ঝড় ওঠে।
সঞ্জীব ঘোষ, রতন পাসোয়ানের মতো অন্যান্য বন্ধুরা মিলে মেতে উঠেছিলেন রাজার জন্মদিনে। উল্লেখ্য, বাবলু এবং তাঁর বন্ধুরা প্রত্যেকেই দিনমজুর। নিজেদের অল্প বেতন থেকেই রাজার জন্য জন্মদিনের আয়োজন করেন বাবলু এবং তাঁর বন্ধুরা।