বিতর্কের সূত্রপাত মালবাজার পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন না মেটানোর অভিযোগকে কেন্দ্র করে। পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, গত ৩ মাস ধরে তাঁদের বেতন বকেয়া রয়েছে। বকেয়া মেটানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। প্রতিবাদে পুর এলাকার রাস্তার আলো জ্বালাননি অস্থায়ী কর্মীরা। শুক্রবার সকালেও তাঁরা পথে নামেন। রাস্তার আবর্জনা সাফাই হয়নি, বর্জ্য নিষ্কাশনের ভ্যান গাড়িও পথে নামেনি।
এক পুরকর্মী এ দিন অভিযোগ তুলেছেন, বৃহস্পতিবার রাতে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান উৎপল ভাদুড়ি তাঁকে আচমকা ফোন করে হুমকি এবং গালাগালি দেন। সেই হুমকির অডিয়ো রেকর্ডিং বাজিয়ে পুরসভার মেন গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন পুরকর্মীরা।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান উৎপল ভাদুড়ি বলেন, ‘সারারাত পথে থেকে পরিষেবা সচল রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু কাউকে গালাগালি করিনি।’
উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর মাস আর্থিক অনিয়ম এবং আদালত অবমাননা সংক্রান্ত অভিযোগে মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহাকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। এরপর থেকে সেই পদ ফাঁকা। ১৫ আসনের এই মালবাজার পুরসভায় ১৪টি ওয়ার্ডেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, ভাইস চেয়ারম্যান উৎপল ভাদুড়িকে বিপাকে ফেলতেই আচমকা অস্থায়ী কর্মীদের উত্তেজিত করে কাজ বন্ধ করানোর হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কাউন্সিলারের কথায়, ‘তিন-চার মাস আগেও বেতন বকেয়া থাকত। তা নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও এ ভাবে পুর পরিষেবা শিকেয় তুলে আন্দোলন হয়নি।’ স্বপন সাহা দাবি করেছেন, তাঁকে পুরসভায় ঢুকতে দেননি আন্দোলনকারীরা।
পুরসভার নিজস্ব তহবিলও সীমিত। তা থেকে তিন মাসের বকেয়া একবারে মেটানো সম্ভব হবে না বলেই পুরসভার অ্যাকাউন্টস বিভাগ জানাচ্ছে। এ দিকে এই আন্দোলন তুলে নিতে নারাজ অস্থায়ী পুরকর্মীরা। আন্দোলনরত অস্থায়ী পুরকর্মী উৎপল দেব বলেন, ‘সমস্ত বকেয়া না মিটলে আমরা কাজে ফিরব না। আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।’
তথ্য সহায়তা: সব্যসাচী ঘোষ