• শিল্পক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলেও সমাধানে উদ্যোগী রাজ্য সরকার, আশ্বাসের বার্তা চন্দ্রনাথ সিনহার...
    আজকাল | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • মিল্টন সেন: শিল্প চালিয়ে নিয়ে যেতে বা নতুন শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যেই দেখা দেয় নানা সমস্যা। যাবতীয় সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। সমস্যা শুনতে প্রায়শই করা হয় ক্যাম্প। জানা গেল, এই ক্যাম্পে ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে ছ’লক্ষ আবেদন। আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে যাবতীয় আবেদন খতিয়ে দেখে সমাধান করবে রাজ্য। হুগলির চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত সিনার্জিতে এই কথা জানালেন রাজ্যের ক্ষু্দ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। হুগলি জেলা সিনার্জি অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, শিল্প দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেশ পান্ডে, হুগলি জেলা শাসক মুক্তা আর্য, সভাধিপতি রঞ্জন ধারা সহ জেলা আধিকারিক ও জন প্রতিনিধিরা।

     

    বেচারাম মান্না জানান, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়ের মাধ্যমে শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এই সিনার্জির উদ্দেশ্য। রাজেশ পান্ডে জানান, ‘একটা শিল্প গড়ে তুলতে যে যে দপ্তরের সহযোগিতা লাগে প্রশাসনের দায়িত্ত্ব সব দপ্তরের সমন্বয় করা। গত এক বছরে অনেক নতুন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। হুগলি জেলায় অনেকগুলো ই-কমার্সের লজিস্টিক হাব তৈরি হয়েছে’। অনুষ্ঠানে শিল্পোদ্যোগীরা তাঁদের নানা অভাব অভিযোগের কথা জানান। অনেকে বলেন, স্কুলের পোশাক তৈরি করলেও তাঁরা ক্লাস্টারে কাজ পাচ্ছেন না। এখানে বিদ্যুৎ খরচ অনেক বেশি। প্রতি ইউনিট ৮ টাকা ৬ পয়সা।

     

    শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে বিদ্যুৎ খরচ কমাতে হবে। আবার জানা যায়, সিঙ্গুর জুয়েলারি ক্লাস্টারে বহু লোক কাজ করেন। কিন্তু ওই শিল্প সরকারি কোনও সাহায্য পায়নি। হুগলি মোটর্সের কর্ণধার শেখ নাসিরুদ্দিন বলেন, ‘ইভি হাব করার জন্য সরকারি জমি দিলে সুবিধা হয়। পাশাপাশি দূষন নিয়ন্ত্রণের শংসাপত্র পেতে হলদিয়ার একটি নির্দিষ্ট সংস্থার উপর নির্ভর করতে হয়। তাতে খরচ অনেক বেশি’। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি আশ্বাস দেন, আলোচনায় যে সমস্ত বিষয় উঠে এল তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। জেলা শাসকের সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নেবেন।

     

    ছবি: পার্থ রাহা
  • Link to this news (আজকাল)