আরজি কর কাণ্ডে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা বিরলতম ঘটনা বলে মন্তব্য করে সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবি করল সিবিআই। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি রয়েছে তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়। বিচারককে ফের একবার সব বিশদে জানানো হয়। তারপর সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তির একমাত্র সঞ্জয়ের দিকেই।
এই মামলার বিচারপর্ব প্রায় শেষের দিকে। গতকাল, বৃহস্পতিবার সঞ্জয় রায়ের বিচারপর্বে সিবিআই নিজেদের যুক্তি দিয়ে বক্তব্য পেশ করে। আজ, শুক্রবার ফের সঞ্জয়কে আদালতে হাজির করানো হয়। এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী ধর্ষণ ও খুনের অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে যা যা প্রমাণ রয়েছে সে যুক্তি দেন। কেন সিবিআই তাকে অভিযুক্ত করছে সবই জানায় তারা।
গত ৯ অগাস্ট আরজি করে তরুণীর ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয় বাংলা। লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রতিবাদে উত্তাল হয় দেশ থেকে বিদেশ। সুপ্রিম কোর্টে ওঠে মামলা। তবে আর্থিক বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ধর্ষণ- খুনের ঘটনায় জামিন পেয়ে যান আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। গ্রেফতারের ৯০ দিন পরেও চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। সে কারণেই সন্দীপ-অভিজিৎকে জামিন দিল শিয়ালদা আদালত। তবে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় জেলেই রয়েছেন সন্দীপ।
ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সমাজের সর্বস্তরে প্রতিবাদের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। স্বাধীনতা দিবসের মধ্যরাতে রাত দখল কর্মসূচিতে বেনজির প্রতিবাদের সাক্ষী থেকেছিল বাংলা। দীর্ঘদিন ধরে কর্মবিরতি চালিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তাঁরা। ধর্মতলায় আমরণ অনশনও হয়েছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে শেষে কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরায় রাজ্য সরকার। পুজোর পরে খানিকটা থিতু হয় আন্দোলন। সবশেষে এই মামলায় জামিন পেয়ে যান সন্দীপ ও অভিজিৎ।