গঙ্গাসাগর মেলার এক সপ্তাহ আগেই নদীপথে শুরু পুলিশি নজরদারি
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
চিন্ময়কৃষ্ণ রায়ের গ্রেপ্তারি ঘিরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তলানিতে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের জলসীমা নেহাত কম নয়। এই পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে বিশেষ সতর্ক দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। তার আগে নিরাপত্তা জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিল সুন্দরবন পুলিশ। পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে স্নানঘাটের সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। ফলে নিরাপত্তার দিকটিও খেয়াল রাখতে হয়েছে প্রশাসনকে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার জানিয়ে দিয়েছিলেন, গঙ্গাসাগর মেলার সময় নদীপথে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। সেই মতো মেলা শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই দীর্ঘ নদীপথে নজরদারি শুরু হয়ে গেল। নদীপথে টহলের পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের নৌকা তল্লাশি করা হচ্ছে। এবছর মেলায় থাকছে প্রায় ১৩ হাজার পুলিশকর্মী। সূত্রের খবর, পড়শি দেশের অস্থিরতা এবং জঙ্গি-অনুপ্রবেশকারীর কথা মাথায় রেখে নদী ও সমুদ্রবক্ষে নিরাপত্তা কঠোর করা হচ্ছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জল সীমানা প্রায় ১৫০ কিমি দীর্ঘ। বঙ্গোপসাগরে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও নৌ বাহিনী কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। মূলত গোবর্ধনপুর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ ও সাগরে টহলদারি চলছে। মৎস্যজীবীদের বৈধ পরিচয়পত্র, লাইসেন্স খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জলপথে সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লে মৎসজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনও সন্দেহজনক কিছু দেখলেই পুলিশে খবর দিতে বলা হয়েছে।
এ বছর পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা মিলবে ভেসেল পরিষেবা। মেগা কন্ট্রোল রুম থেকে আকাশ পথে ড্রোনের মাধ্যমে চলবে নজরদারি। এছাড়া জলপথে নজরদারি চলছে স্পিডবোট এবং হোভার ক্যাপ্টের মাধ্যমে। সাগরমেলায় ১১৫০টি সিসিটিভি লাগানো থাকছে। ১০ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। শেষ হবে ১৭ জানুয়ারি। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান চলবে ১৪ জানুয়ারি সকাল ৬ টা ৫৮ মিনিট থেকে পরদিন সকাল ৬ টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত।