কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে আবেদন জানানো হয়েছে, বাসের বয়সসীমা ১৫ থেকে ২০ বছর বাড়ানোর ব্যাপারেও বলা হয়েছে। মঙ্গলবার হতে পারে এর শুনানি। ৬ টি বাস মালিক সংগঠনের মধ্যে অন্যতম মামলাকারী, সিটি সাবার্বান বাস সিন্ডিকেট সভাপতি টিটো সাহার যুক্তি দিয়ে বলেছেন, একটি বাস ১৫ বছর বয়স পেরিয়ে গেছে বলেই সেটা বাতিল, এই কথা কোন আইনে লেখা আছে? আবার একটি বাস ১৫ বছর পেরোয়নি মানেই সেটা ফিট, তারই বা কি যুক্তি আছে? আদালতে গতকাল তারা জানিয়ে দিয়েছেন, বয়স নয়, স্বাস্থ্য বিবেচনা করে বাস বাতিল হোক। অন্যথায় এই বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে রাতারাতি শহরে কমবে ১৫০০ বাস।
গতকাল আদালতে পরিবেশ দফতরের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। ফলে বাস মালিকদের দওয়া যুক্তি মেনে নেওয়া বা খন্ডন করার মতো পরিস্থিতি ছিল না। এমতাবস্থায় রাজ্য হাইকোর্টের কাছে ৭ দিন সময় চায়। সেই আবেদন মঞ্জুর করে ৯ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য্য হয়েছে।
পাবলিক ভেহিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে পাওয়া তথ্যে জানানো হয়েছে, ধীরে ধীরে প্রায় ৫০০-র বেশি বেসরকারি বাস ও মিনিবাস বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি প্রায় ১০০০ থেকে ২০০০ এরও বেশি অটো, ট্যাক্সি বাতিল হয়েছে ইতিমধ্যে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু রুটে বাসের অভাব দেখা দিয়েছে চোখে পড়ার মতো। এতে সমস্যায় পড়ছেন যেমন নিত্যযাত্রীরা তেমনি বাসের মালিকরাও আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
পুরোনো বাসের ভবিষ্যৎ কি হবে এখন এটাই দেখার বিষয়। রাতারাতি কি উঠিয়ে নেওয়া হবে বাস নাকি হাইকোর্টে সকল বিষয়কে খতিয়ে দেখে দেওয়া হবে অনুমতি।