'শোনা যাচ্ছে…' যোগীর সঙ্গে হাসিমুখে টিএমসির কল্যাণ, ছবি দেখিয়ে খোঁচা সুকান্তর
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
তৃণমূলের দাপুটে নেতা। নানা সময় নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন। আবার বিজেপির বিরুদ্ধে একবারে ক্ষুরধার আক্রমণও করেন। সেখানে এক ইঞ্চি জমি কাউকে ছা়ড়েন না। তিনি কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। শ্রীরামপুরের তৃণমূলের সাংসদ। এমনকী নানা সময়ে দলের একাংশের বিরুদ্ধেও মুখ খুলে ফেলেন তিনি। আবার বিজেপি বিরোধিতায় একেবারে সামনের সারিতে। সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের একটা ছবি পোস্ট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একেবারে হাসিমুখে উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোদী আদিত্যনাথের সঙ্গে টিএমসি এমপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে এই ছবি যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, 'শোনা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এবং হিন্দু হৃদয়সম্রাট সম্মানীয় যোগী আদিত্যনাথ জী-র সঙ্গে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় বাবুর এই ছবিটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নাকি তিনি প্রবলভাবে মাননীয়ার বিরাগভাজন হয়েছেন। তাঁর আজকের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গেছে তিনি তাঁর দলে ঠিক কতটা কোণঠাসা!
আমি মন থেকে বিশ্বাস করি, আজকে আমার সম্পর্কে করা কল্যাণবাবুর প্রলাপ তাঁর উপর তৈরি হওয়া প্রবল চাপের বহিঃপ্রকাশ। একদিকে পশ্চিমবঙ্গের তোষণসর্বস্ব মুখ্যমন্ত্রী
-এর চাপে ওয়াকফ নিয়ে সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে মারপিট করতে হচ্ছে, মঞ্চে ফিরহাদবাবুদের সঙ্গে কমিউনাল বক্তব্য রাখতে হচ্ছে, আবার অন্যদিকে তিনি স্বধর্মের প্রতি তাঁর দায়িত্বও উপেক্ষা করতে পারছেন না। তাই একপ্রকার অসহায় হয়েই তাঁকে দিনযাপন করতে হচ্ছে।
তোষণের সংসারে আবদ্ধ থাকলেও দিনের শেষে তিনি দুর্গা মাতার সন্তান। আমি কায়মনোবাক্যে তাঁর মানসিক সুস্থতা কামনা করি।' লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার।
এদিকে এই পোস্ট দেখে হেসে ফেলেছেন অনেকেই।
এদিকে সম্প্রতি ওয়াকফ সংক্রান্ত যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে রীতিমতো রক্তারক্তি কাণ্ড হয়ে গিয়েছিল। হাত কেটে গিয়েছিল কল্য়াণের। আসলে গত ২২ অক্টোবর ওয়াকফ বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন মেজাজ হারিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী সাংসদ বোতল ভেঙে ফেলেন। বৈঠক চলাকালীন সামনে রাখা কাচের বোতল ভেঙে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটান কল্যাণ। ওই বোতলেরই ভাঙা টুকরো লেগে কেটে যায় তাঁর হাত।
তবে তারপর সংবিধান দিবসের দিনে সংসদ ভবনেই দেখা গিয়েছিল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আঙুল কেমন আছে তার খোঁজ নিচ্ছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তারপর কল্য়াণ বলেছিলেন, ‘এটাই তো সৌজন্য। একজন প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করছেন, আঙুল কেমন আছে। নিঃসন্দেহে ভাল লাগে। মন ছুঁয়ে যায়। এতদিন পরও ওঁর মনে আছে। দল যাইহোক না কেন, শাসক বিরোধী যাইহোক না কেন, একজন এমপি আমি। উনি যে আমার খোঁজ নিয়েছেন, এটা আমার কাছে বড় ব্যাপার। রাজনৈতিক সৌজন্যতার থেকে তো বড় কিছু হতে পারে না। আমার খবর নেওয়ায় আমি খুশি।’