সিবিআই তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার পরিবার। সংবাদমাধ্যম টিভি নাইন বাংলায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের বাবা জানিয়েছেন, সঞ্জয় রায় দোষী। তবে আরও কয়েকজন দোষী আছেন। যাঁরা তথ্যপ্রমাণ লোপাট করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ঠিকমতো চার্জশিট পেশ করবে বলে মনে করছেন না। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ছেড়ে দিয়েছে সিবিআই। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও দেয়নি। সেজন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে যে ‘সমস্যা’ তৈরি হয়েছে, সেটার কারণে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা।
আর যে সময় আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা সেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখনই শিয়ালদা আদালতে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যে নিম্ন আদালতে আরজি কর ধর্ষণ এবং খুন মামলার সাক্ষ্যদান পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে সওয়াল করা হয়েছে যে বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। সেজন্য সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের আর্জি জানিয়েছে সিবিআই।
বৃহস্পতিবারই শিয়ালদা আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, বায়োলজিক্যাল স্যাম্পেল, সিসিটিভি ফুটেজ এবং সাক্ষীদের বয়ান থেকে যা ইঙ্গিত মিলছে, তাতে গত অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় যুক্ত ছিল সঞ্জয়। ৮ অগস্ট রাত ৩ টে ২০ মিনিটে আরজি কর হাসপাতালে এসেছিল সিভিক ভলান্টিয়ার। তারপর ঢুকে পড়েছিল জরুরি পরিষেবার বিল্ডিংয়ে। আর ভোর ৪ টে ৩ মিনিটে সেমিনার হলে ঢুকেছিল বলে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়।
সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও জানান, সেমিনার হলে ঘুমোচ্ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। কলকাতার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে ইঙ্গিত মিলেছে যে তরুণী চিকিৎসকের পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছিল। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের পরে ভোর ৪ টে ৩২ মিনিটে তৃতীয় তল ছেড়ে সঞ্জয় বেরিয়ে গিয়েছিল বলে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, যা নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাতে সঞ্জয়ের যোগ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।