• সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চাইল সিবিআই, আরজি কর কাণ্ডের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, সাজা বাকি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সাজা ঘোষণা এখনও বাকি রয়েছে। আর তার মধ্যেই সিবিআই শিয়ালদা জেলা আদালতে জানিয়ে দেয়, জৈবিক নমুনার ফলাফল, সিসিটিভির ফুটেজ এবং সাক্ষীদের বয়ানের ভিত্তিতে তারা মনে করছে সঞ্জয়ই দোষী। আর এটা বিরলতম ঘটনা। তাই আদালতে ধৃত সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজার দাবি জানাল সিবিআই। সাক্ষ্যদান পর্ব শেষ হয়েছে। আর সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করল সিবিআই।

    এদিকে গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে পিজিটি চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করেছিল সঞ্জয় রায়। তাকে প্রথম গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। তারপর থেকে তদন্ত করছে সিবিআই। যাবতীয় প্রমাণ ও সাক্ষ্য সঞ্জয়ের বিরুদ্ধেই গিয়েছে। আর তার প্রেক্ষিতে শিয়ালদা কোর্টে সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করল সিবিআই। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিচারপর্বে সিবিআইয়ের যুক্তি দিয়ে বক্তব্য পেশ শেষ হয়েছে। সঞ্জয়কে বৃহস্পতিবার আদালতের রুদ্ধদ্বার কক্ষে হাজির করা হয়। সিবিআইয়ের আইনজীবী যুক্তি দিয়ে আদালতকে জানান, এই ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে এইসব প্রমাণ রয়েছে।

    অন্যদিকে আজ শুক্রবার শেষ হয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। আর তা শেষ হতেই সিবিআই শিয়ালদা আদালতে বিচারকের কাছে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের সর্বোচ্চ শাস্তির আর্জি জানিয়েছে। তথ্য প্রমাণ এবং পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ যা উঠে এসেছে তাতে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত বলেই শিয়ালদা আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। আইনজীবীদের মতে, এই সর্বোচ্চ শাস্তির অর্থ হল ফাঁসি। সিবিআই আইনজীবী সওয়ালে বলেন, ‘‌এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ। অত্যন্ত জঘন্যভাবে কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হোক।’‌ এই কথা বলতেই আলোড়ন পড়ে যায়।

    এছাড়া এই বিষয়ে সিবিআইয়ের পক্ষে যে ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাঁদের আংশিক বক্তব্যও পেশ করা হয়। বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স যা উদ্ধার করা হয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষা অনুযায়ী সেসব সঞ্জয় রায়ের বলে আইনজীবী তুলে ধরেন। সঞ্জয় রায়ের জামাকাপড় এবং জুতো থেকে যে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে, সেটাও যে নির্যাতিতার, সেই বিষয়েও ফরেনসিকের রিপোর্ট তুলে ধরা হয়। সিবিআইয়ের তৈরি বিশেষজ্ঞদের টিমও সঞ্জয় রায়কে একমাত্র অভিযুক্ত বলে রিপোর্ট দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এই সবের ভিত্তিতেই ফাইনাল ক্লোজিং জমা করেছে সিবিআই। আগামী সপ্তাহে এই মামলার সাজা ঘোষণা হতে পারে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)