• ‘একে নিতেই হবে, খুব খুব দরকারি,’ অযোগ্যদের তালিকায় নোট লিখতেন পার্থ, বলছে CBI
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ জানুয়ারি ২০২৫
  • পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। বর্তমানে তিনি জেলবন্দি। তবে যত দিন যাচ্ছে সেই পার্থর সম্পর্কে নিত্যনতুন অভিযোগ সামনে আসছে। আর সেগুলি একেবারে বিস্ফোরক। সিবিআইয়ের দাবি, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের মধ্য়ে কাদের নিতে হবে সেটা কার্যত ঠিক করে দিতেন পার্থ নিজেই। এমনকী সেই তালিকায় তিনি কোন অযোগ্যদের তালিকায় কাদের নিতে হবে সেটা একেবারে চিহ্নিত করে দিতেন। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে তদন্তকারী সংস্থা যে তথ্য় সংগ্রহ করেছে তা চার্জশিট আকারে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। 

    আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, বিকাশ ভবনে তল্লাশি চালিয়ে অযোগ্যদের তালিকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানেই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের হাতে লেখা নির্দেশ ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সেই হাতে লেখা নির্দেশ সরাসরি হাতে পায়নি সিবিআই। তবে পার্থর হাতে লেখা সেই নির্দেশের অনুলিখন পেয়েছে সিবিআই। 

    একেবারে অযোগ্যদের তালিকায় নামের পাশে নোট দিতেন পার্থ নিজেই। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। তালিকাটি ঠিক কেমন ছিল? 

    সূত্রের খবর ও সংবাদমাধ্য়মের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তালিকায় সব মিলিয়ে ৩২৪জন চাকরিপ্রার্থীর নাম রয়েছে। এগুলো হচ্ছে অযোগ্যদের তালিকা। আসলে এই তালিকায় থাকা সব অযোগ্যরাই কোনও কোনও না কোনও প্রভাবশালীর সুপারিশ করা নাম। অর্থাৎ প্রভাবশালীরা যে নাম জমা দিতেন তার একটা আলাদা তালিকা করা হত। সেই তালিকায় একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট চাকরিপ্রার্থীর নাম থাকত তেমনই সেই তালিকায় যে প্রভাবশালীরা এই নাম সুপারিশ করেছেন তাঁর নামও থাকত। তবে সেই প্রভাবশালীরা নাম সুপারিশ করলেই যে চাকরি পাকা এমনটা নয়। সেই নামের পাশে কাদের চাকরি একেবারে দিতেই হবে সেটা ঠিক করতেন খোদ পার্থ। 

    তিনি সেই নামের পাশে লিখতেন, একে নিতেই হবে, এটা খুব দরকারি। এমনই সব ছোটখাটো নোট লিখতেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। আর সেই নোটের গুরুত্বই আলাদা। সেই নোট ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

    ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সিবিআই জানিয়েছে, এক এক জন প্রার্থীর নামের ক্ষেত্রে এক এক রকম মন্তব্য লিখতেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। কোথাও নামের পাশে তিনি লিখতেন একে নিতেই হবে, কোথাও আবার লিখতেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলে নিতে হবে। কোথাও আবার লেখা হত ভেরি ভেরি ইমপর্টান্ট। অর্থাৎ খুব খুব দরকারি। আর এই খুব খুব দরকারিরা কার্যত অগ্রাধিকারের তালিকায়। এখানেই শেষ নয়, জেলার নামও লেখা থাকত। 

    এদিকে পার্থর হাতের লেখা অনুসারে এক মহিলা ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সেই তালিকা আবার নকল করতেন। এরপর সেই অনুলিখন পাঠিয়ে দেওয়া হত অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যর কাছে। অভিযোগ এমনটাই। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)