মধুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মনিরুল ইসলামের বাড়ির সামনে সাদা থান, অন্যান্য সামগ্রী রেখে দেওয়া হয় অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে নওদা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিজের ভাইয়ের সিমেন্টের ব্যবসায় কাজ করেন মনিরুল। ঘটনার পিছনে ব্যবসায়িক শত্রুতা রয়েছে না কোনও রাজনৈতিক যোগ রয়েছে সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মনিরুল বলেন, ‘আমি কিছুটা দূরে একটি বাড়িতে থাকি। এখানে আমার মা-বাবা থাকেন। মা ফোন করে আমায় বিষয়টি জানালেন।’ হুমকি পাওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানান তৃণমূল নেতা। মনিরুলের দাবি, ব্যবসায়িক কারণে নয়, রাজনৈতিক শত্রুতা থেকেই কেউ এমন করে থাকতে পারে। তাঁর কথায়, ‘কে করেছে বলতে পারব না। তবে পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’
ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। মুর্শিদাবাদ বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘যে বা যাঁরাই এটা করে থাকুক, কাউকে রেয়াত করা হবে না। রাজনৈতিক রঙ না দেখেই পুলিশকে অপরাধীদের ধরতে বলা হয়েছে।’ অন্যদিকে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘তৃণমূলে দল এখন হিংসায় ফুটছে। ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ক্ষমতা দখলের লড়াই চলে। নিজেরাই হিংসার রাজনীতিতে নেমেছে।’