তিন মাস আগে শান্তিপুর হাসপাতালে প্যাথলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসেবে কাজে যোগদান করেন ওই মহিলা চিকিৎসক। তাঁর অভিযোগ, কাজে যোগদানের পর থেকেই হাসপাতাল সুপার চিকিৎসক তারক বর্মন তাঁর উপর বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করছেন। প্যাথলজি ডিপার্টমেন্টে কাজ করলেও তাঁকে জোর করে অন্য বিভাগে কাজ করানো হতো বলে অভিযোগ। নাইট ডিউটি জোর করে করানো হতো। প্রতিবাদ করতে গেলে জুটত হুমকি।
মহিলা চিকিৎসক বলেন, ‘আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। অর্ডার যদি ফলো না করো, তা হলে দ্বিতীয় অভয়ার ঘটনা হতে চলেছে – আমায় এটাই বলে চলে গিয়েছে।’ মানসিক নির্যাতনের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য দপ্তরে অভিযোগ জানান ওই মহিলা চিকিৎসক। শান্তিপুর থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগের কথা স্বীকার করেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘আমি ওই মহিলা চিকিৎসকের অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যেই তা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই মহিলা চিকিৎসক নিজেও মানসিক রোগের ওষুধ খান। আমি জানিয়েছি, ওই চিকিৎসককে স্বাস্থ্য দপ্তর অন্যত্র স্থানান্তরিত করলে আমার কোনও আপত্তি নেই।’
মহিলা চিকিৎসকের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শান্তিপুর হাসপাতালের সুপার। তিনি বলেন, ‘ওই মহিলা চিকিৎসক আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ বিষয়ে যা বলার জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলবেন।’