• সিকিমের বন্যায় বিপুল ক্ষতি তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে, মাথায় হাত চাষিদের...
    ২৪ ঘন্টা | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • প্রদ্যুৎ দাস: গত বছর সিকিমের ভয়ানক বন্যার ফলে নদীর জল প্রবাহের সঙ্গে বহু ক্ষতির মুখে পড়েছিল নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো।পাশাপাশি, বেআইনি, অবৈজ্ঞানিকভাবে তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে  বালি উত্তোলনের ফলে একদিকে যেমন নদীর গতিপথ পরিবর্তন অপরদিকে জলপাইগুড়ি তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর সবজি চাষে ফলন কম হওয়ায় চিন্তায় কৃষকেরা। জমির উর্বরতায় ভাটা। শীতের মরসুমে রবি ফসল মটরশুঁটি, আলু সহ অন্যান্য ফসল সেরকম চাষাবাদ ফলপ্রসূ হয়নি, তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকার চাষিরা চিন্তায়।

    তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে শীতকালে রবি ফসলের উপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে মটরশুটি, আলু এবং অন্যান্য ফসল। এই অঞ্চলের তিস্তা নদী প্রতিবছর বর্ষার পরে মাটি ও বালি এনে উর্বরতা বৃদ্ধি করে, যার ফলে ভালো ফলনের আশা থাকে। তবে এবছর কিছুই আগের মতো নয়।

    গত বছর সিকিমের ভয়ানক বন্যার ফলে নদীর জল প্রবাহের সঙ্গে বহু ক্ষতির মুখে পড়েছিল নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো। বন্যার পর পর, সেনা ছাউনির অস্ত্রশস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ বারুদও তিস্তার মাধ্যমে চলে আসে, যা যে কোনও কৃষকের জন্য চিন্তার কারণ। সেই বন্যার জল তিস্তার চরিত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে, এবং কৃষকদের মতে, সেই জল এবং মাটির তেলাক্তভাব এখনো কাটেনি। তাঁদের মতে, এই তেলাক্ত মাটির কারণে চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে, এবং আগের মতো ফলন পাচ্ছেন না।

    জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাটকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তিস্তা নদী লাগোয়া এলাকার কৃষকদের মুখে একটাই কথা, “আগে যেভাবে উর্বরতা পেতাম, এবছর সেভাবে ফলন হচ্ছে না। সিকিমের বন্যার ধাক্কা এখনও কাটেনি, আর নদীর মাটি থেকে তেলযুক্ত ভাব ওঠা ছাড়া কিছুই হচ্ছে না।”

    এ বছর, মটরশুটি ও আলুর চাষে অনেকটা পতন লক্ষ্য করা গেছে। কৃষকরা আশঙ্কা করছেন যে, যদি তিস্তা নদী থেকে বন্যার প্রভাব শেষ না হয়, তবে ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের কৃষি জীবিকা আরো কঠিন হয়ে পড়বে। এদিকে, কৃষকদের দাবি, সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে নদীর তীরবর্তী কৃষকরা আবারো আগের মতো সুস্থিরভাবে চাষাবাদ করতে পারেন। 

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)