জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'আমি বা আমাদের মত বহু মানুষ এই দলের জন্য যা শ্রম দিয়েছি বা দিচ্ছি। আমি জানি না নবান্ন তার কতটা মূল্য দিয়েছে'। সরকারি অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
ঘটনাটি ঠিক কী? নাম, 'মিলন উত্সব'। কলকাতা পার্ক সার্কাস ময়দানে প্রতিবছরই এই উত্সবের আয়োজন করে রাজ্য সরকারের মাইনরিটি সেল। ব্যতিক্রম ঘটেনি এবছর। ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে গিয়েছে , 'মিলন উত্সব'। চলবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
রাজ্যের গ্রন্থাগারিক মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা বলেন, 'পশ্চিমবাংলায় তিনটে খুঁটির ওপর দাঁড়িয়ে আছে ১১ কোটি মানুষ। একটা মুসলমান খুটি, মুসলিমের মধ্যে দুটো দলিত আর আদিবাসী। আমাদের ব্যথা বেদনা বোঝবার সময় এসেছে। জৈন ভাইয়েরা শান্ত হন। পার্সিরা সংখ্যায় কম হন। বৌদ্ধরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে মারামারি করেন না। কিন্তু সেই মূল্যটা কে দেবে? আমরা দেব একে অপরকে'।
সিদ্দিকুল্লার আরও বক্তব্য, 'স্বাধীনতা আন্দোলনে শিখদের অবদান আছে। বৌদ্ধদের অবদান আছে। আমাদের(মুসলমান) অবদান আছে। একথা পাঠ্য পুস্তকে আসতে হবে। শিক্ষার বইয়ে এই অবদানের কথা নেই'। তাঁর মতে, 'ছাত্ররা জানে না ,তারা বোঝেনা, স্বাধীনতা আন্দোলনে কার অবদান আছে। প্রত্যেক ধর্ম বর্ণের মানুষের ইতিহাস বইতে থাকতে হবে'।
মিলন উত্সবে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'কোনও রাজনৈতিক নেতা মুসলিমদের হাতে খুন হননি। একটা ধারনা তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে'।