বাবুল সুপ্রিয় দাবি করেছেন, তিনি নিজেই ড্রাইভ করে গাড়ি নিয়ে কলকাতা থেকে হাওড়ায় বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ে তাঁর গাড়ির পিছনে ছিল সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়ি। বাবুল গাড়ি চালানোর সময় সেটা বুঝতে পারেননি।
তাঁর দাবি, গাড়িটি বারবার হর্ন দিচ্ছিল এবং বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো হচ্ছিল। গাড়ির চালককে একবার মুখ বাড়িয়ে বাবুল বলেন, ‘এ ভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন কেন? দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’ পরে গাড়িটিকে থামান বাবুল। বাবুলের দাবি, সেই সময়ে পেছনের আসন থেকে গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য কেউ একটা নির্দেশ দেন এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
কিছুটা এগিয়ে ফের গাড়িটিকে দাঁড় করান বাবুল। তখন বাবুল লক্ষ্য করেন গাড়িতে রয়েছেন বিজেপির সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গাড়িতে ‘এমপি তমলুক’ লেখাও খেয়াল করেন বাবুল। বিজেপি সাংসদকে দেখে বাবুল তাঁর গাড়ির চালককে সঠিকভাবে গাড়ি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার কথা বলেন। বাবুলের দাবি, সেই সময়ে তাঁকে সাংসদ বলেন, ‘যা করেছে বেশ করেছে।’ নিয়ম না মেনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গাড়িতে নীল রঙের আলো ব্যবহার করছেন। সে বিষয়েও প্রতিবাদ জানান বাবুল। এমনকী, সাংসদ ক্ষমা না চাইলে তিনি গাড়ি যেতে দেবেন না বলেও জানিয়ে দেন বাবুল।
দুই রাজনীতিকের বচসায় ততক্ষণে প্রচুর লোক জড়ো হয়ে যায়। ছুটে আসে পুলিশও। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বাবুল বলেন, ‘যে ভাবে গাড়ি চালানো হয়, তাতে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য আমি অভিযোগ অবশ্যই জানাব। তবে ওঁর কাছ থেকে এরকম দাম্ভিক আচরণ আমি আশা করিনি।’