দুলালের স্ত্রী চৈতালি বলেন, ‘এই ঘটনায় একাধিক লোক জড়িত। খুনের ঘটনার পিছনে গভীর যড়যন্ত্র রয়েছে। একদিনের কাজ নয়। পুলিশ খুঁজে বের করুক। আমি চাইব সঠিক বিচার হবে। অপেক্ষা করছি। দেখব কয়েকদিন। তারপর যা বলার বলব।’
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মোট ন’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে বৃহস্পতিবারই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন বিহারের কাটিহারের বাসিন্দা সামি এবং ইংরেজবাজারের গাবগাছি অঞ্চলের বাসিন্দা টিঙ্কু। পরে মালদা জেলা পুলিশ এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে বিহার থেকে আব্দুল গনি নামের এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনজনকে শুক্রবার মালদা জেলা আদালতে হাজির করানো হলেও কেউ তাঁদের হয়ে সওয়াল করেননি। প্রসঙ্গত, প্রয়াত তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের স্ত্রী চৈতালি নিজেও একজন আইনজীবী। সেই আবেগ থেকেই কেউ অভিযুক্তের হয়ে দাঁড়াতে রাজি হননি বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার ইংরেজবাজারের ঝলঝলিয়া বাজারের কাছে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। আচমকা বাইকে চেপে এসে তিনজন দুষ্কৃতী তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। সেই ছবি সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। তড়িঘড়ি দুলালকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁর মৃত্যু হয়।