হরিদেবপুরের ওই বাসিন্দার সঙ্গে প্রথমে হোয়াট্সঅ্যাপে যোগাযোগ করেছিলেন প্রতারকেরা। প্রথম মেসেজ আসে গত বছরের অক্টোবরে। শেয়ার বাজারে কী ভাবে বিনিয়োগ করবেন, কী ভাবে বিনিয়োগ করলে বেশি লাভ হবে, তা নিয়ে প্রশিক্ষণের টোপ দিয়ে একটি মেসেজ পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। এর জন্য অনলাইনে একটি প্রশিক্ষণে যোগ দিতে বলে অ্যাপের লিঙ্ক পাঠানো হয় হোয়াট্সঅ্যাপে। সেই অ্যাপ ডাউনলোড করানো হয় হরিদেবপুরের ওই বাসিন্দাকে দিয়ে। বিনিয়োগ শেখানোর নামে ওই অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে টাকা লগ্নি করার কথা বলা হয় তাঁকে। এই ভাবে ধাপে ধাপে তাঁর থেকে ওই এক কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা প্রতারকেরা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ।
তিনি যে প্রতারিত হচ্ছেন, তা অনেকটা পরে বুঝতে পারেন তিনি। সাইবার জালিয়াতির ফাঁদে পড়েছেন বোঝার পর থানায় অভিযোগ জানান তিনি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখা গত ১৬ ডিসেম্বর মামলা রুজু করে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কোন পথে টাকা গিয়েছে তা বিশ্লেষণ করে কৃষ্ণনগর এবং কালীগঞ্জ থানা এলাকায় দু’টি অভিযান চালায় পুলিশ। ওই অভিযানেই ধরা পড়েন তিন অভিযুক্ত। ধৃতদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার যথাযথ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের টোপ দিয়ে প্রতারণা বর্তমানে তদন্তকারীদের অন্যতম চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। শেয়ার বাজার সংক্রান্ত সাইবার প্রতারণার ফাঁদে প্রচুর মানুষ টাকা খুইয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, অনলাইনে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের টোপে বিছিয়ে গত বছরের প্রথম চার মাসেই ১৪২০ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে।