একদিকে বিজেপি সাংসদ আর অপরদিকে তৃণমূল বিধায়ক। বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বনাম তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। উভয়ের মধ্য়ে রীতিমতো বাকবিতন্ডা। হাইওয়েতে গাড়ি থামিয়ে উভয়ের মধ্য়ে এই বচসা হয়েছে বলে খবর। গাড়ির গতি নিয়ে ঝামেলার জেরে এই বচসার সূত্রপাত।দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর গাড়ি থামিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়।
এদিকে হাইওয়েতে দুজনেই গাড়ি থামিয়ে দেন। এরপর দুপক্ষের মধ্যে চরম বাদানুবাদ। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে ক্ষমা চাইতে বলেন বাবুল সুপ্রিয়। এদিকে ঘটনার জেরে সেতুর মধ্যে যানজট তৈরি হয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। দুপক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়।
সূত্রের খবর নিজেই গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। কিন্তু তিনি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। সেই সময় বাবুলের গাড়িকে একপাশে চেপে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। এনিয়ে আপত্তি তোলেন বাবুল। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়।
এদিকে বাবুল সুপ্রিয় প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারেননি নীলবাতি ওই গাড়িতে বসে রয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। সূত্রের খবর, বাবুল সুপ্রিয়, সাংসদের গাড়ির এই হাইস্পিড নিয়ে আপত্তি তোলেন। কারণ এর মাধ্যমে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে বচসা চরমে ওঠে। এমনকী গাড়ির নীল বাতি নিয়েও আপত্তি তোলেন বাবুল।
এদিকে বাবুল সুপ্রিয়কে গ্রেফতার করার কথাও বলতে থাকেন অভিজিৎ। এমনটাও দাবি করা হচ্ছে।
এদিকে দুপক্ষের মধ্যে বচসা চরমে ওঠে। শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় কিছু হতচকিত হয়ে যান উপস্থিত লোকজনও। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে।
সূত্রের খবর, বাবুল নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় পেছনের গাড়ি থেকে হর্ন দেওয়া হচ্ছিল। আর সেই গাড়িতেই ছিলেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি। এদিকে বচসা শুরু হলে দুপক্ষকে থামাতে পুলিশ কিছুটা সমস্যায় পড়ে।
শুক্রবার রাতে প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে দুপক্ষের মধ্যে বচসা চলে বলে খবর। অভিজিৎ গাড়ি নিয়ে কলকাতা থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। বাবুলও গাড়ি নিয়ে হাওড়ার বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে দুই নেতার মধ্যে বচসা।
বাবুল গাড়ি থেকে নেমে অভিজিতের গাড়ির চালককে আস্তে গাড়ি চালাতে বলেছিলেন। কিন্তু তখনই পেছন থেকে অভিজিৎ কুকথা বলেন বলে অভিযোগ। তারপরই শুরু হল বচসা।