বেহালায় সৌরভের মেয়ের গাড়িতে ধাক্কা বাসের, বিপদ থেকে রক্ষা সানার, পাকড়াও চালক
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫
বাড়ির কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা সানা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বেহালা চৌরাস্তার কাছে সানার গাড়িতে ধাক্কা মারে একটি বাস। ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাড়ির একাংশ। তবে যেদিকে বাসটি ধাক্কা মেরেছে, সেদিকে ছিলেন না সৌরভ-কন্যা। গাড়ির অন্যদিকে বসেছিলেন। ফলে বাসটি ধাক্কা মারলেও সানার কোনও বিপদ হয়নি। তবে দুর্ঘটনার অভিঘাতে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। তারইমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। বাড়িতে পৌঁছে দেয় সানাকে। ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে ঘাতক বাসের চালককে। একটি মহলের দাবি, ডায়মন্ড হারবার রোডের উপরে দুটি বাস রেষারেষি করছিল। সেইসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমতলা রুটের একটি বাস ধাক্কা মারে সানার গাড়িতে। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে সানার গাড়ি উলটে যেতে পারত। তবে চালকের তৎপরতায় বড়সড় ফাঁড়া কেটে গিয়েছে বলে ওই মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য আপাতত ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি সৌরভের পরিবারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এমনিতে কলকাতায় সম্প্রতি বেপরোয়া বাসের জেরে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর তেলেঙ্গাবাগানের কাছে হাওড়া-বারাসত রুটের একটি বাসের সঙ্গে বাগবাজার-গড়িয়া স্টেশন রুটের একটি বাসের রেষারেষির জেরে এক মহিলা গুরুতর আহত হন। তেলেঙ্গানবাগানের কাছে ওই দুটি বাসের রেষারেষির মধ্যিখানে পড়ে যান। তাঁর পায়ের উপরে উঠে যায় বাসের চাকা। তাঁকে ভরতি করা হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে। সেইসময় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তার আগে গত নভেম্বরে সল্টলেকের দু'নম্বর গেটের কাছে বাসের রেষারেষিতে এক তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু হয়। সেইসময় স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছিলেন, মঙ্গলবার ২১৫এ রুটের দুটি বাসের মধ্যে রেষারেষি চলছিল। কোনটি আগে যাবে, সেটার জন্য বেপরোয়া গতিতে বাস চালাচ্ছিলেন দুই চালকই। সেইসময় স্কুটিতে ধাক্কা মারে একটি বাস। স্কুটিতে মায়ের সঙ্গে দুই খুদে ছিল। তিনজনেই ছিটকে পড়ে যায় রাস্তায়। হাসপাতালে মৃত্যু হয় কেষ্টপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের।
পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, ‘পুলিশ শুধু টাকা চেনে। টাকা দিলেই সব হয়ে যাবে।’ অপর এক যুবক দাবি করেছিলেন, ‘যখন অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল, তখন পুলিশ বাস ও ড্রাইভারকে নিয়ে চলে গেল। বাচ্চাটাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। তখন মায়ের সঙ্গে একটা পুলিশও ছিল না।’