• মেজিয়ায় ছাই-মাটি চাপা যুবকের দেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য
    বর্তমান | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: শুক্রবার সকালে মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাইপুকুর সংলগ্ন এলাকা থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম দীপক বাজ(৩২)। তাঁর বাড়ি গঙ্গাজলঘাটি থানার লটিয়াবনী গ্রামে। ওই যুবক একটি সংস্থার আওতায় পুকুরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই ফেলার গাড়ি চালাতেন। এদিন তাঁর দেহটি ছাইমাটি চাপা অবস্থায় ছিল। পুলিস মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। যুবকের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, তাঁকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। যদিও এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত গঙ্গাজলঘাটি থানায় পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে পুলিস জানিয়েছে।

    বাঁকুড়ার পুলিস সুপার বৈভব তেওয়ারি বলেন, এদিন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাইপুকুরের পাশ থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। মৃতের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ জানালে সেই অনুযায়ী মামলা দায়ের হবে।   

    মৃতের কাকা জিতেন বাজ বলেন, দীপক একটি সংস্থার আওতায় ছাইপুকুরে গাড়ি চালাত। মাঝেমধ্যে সে ওই সংস্থার অন্যান্য টুকিটাকি কাজও করত। প্রতিদিন দুপুরে সে বাড়িতে খেতে যেত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভাইপো বাড়ি যায়নি। রাতেও সে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিসও ছাইপুকুরে মধ্য রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালায়। কিন্তু, অন্ধকারে আমরা কিছু পাইনি। তবে ভাইপোর মোবাইল ফোনটি ছাইপুকুর এলাকাতেই রয়েছে বলে পুলিস টাওয়ার লোকেশন পরীক্ষা করে আমাদের জানায়। এদিন ফের খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একটি জায়গায় মাটি অসমান দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি করে ভাইপোর দেহ উদ্ধার হয়। দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ভাইপোকে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে বলে আমাদের অনুমান। এব্যাপারে পুলিসের কাছে লিখিত 

    অভিযোগ জানাব। গঙ্গাজলঘাটি থানার এক আধিকারিক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ছাইপুকুরে কাজ করা পে-লোডার জাতীয় কোনও ভারী গাড়ির ধাক্কায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে কে বা কারা তাঁর দেহ মাটিতে গর্ত করে পুঁতে দিয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। - এখান থেকেই উদ্ধার হয় দেহ। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)