বালুরঘাট হাসপাতালে বেতন না পেয়ে কর্মবিরতি অস্থায়ী কর্মীদের
বর্তমান | ০৪ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, পতিরাম: আড়াই কোটি টাকার বকেয়া বিল পাশ করছেন না ট্রেজারি অফিসার। ফলে হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দিতে পারছে না বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিযুক্ত এজেন্সি। এবার বকেয়া না পেয়ে অস্থায়ী কর্মীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য হাসপাতালে কাজ বন্ধ করে দিলেন। শুক্রবার হাসপাতালে বিক্ষোভও দেখান কর্মীরা। এজেন্সির অভিযোগ, বালুরঘাট হাসপাতালের মাধ্যমে ট্রেজারিতে যাওয়া বহু বিল পাশ করেননি অফিসার। ফলে সবমিলিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ঝুলে রয়েছে। এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও এজেন্সি আঙুল তুলেছে ট্রেজারি অফিসের দিকেই। কর্মবিরতির ফলে পুরনো হাসপাতালের তিনতলা ভবন থেকে শুরু করে বহির্বিভাগ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে পরিষেবা বন্ধ হয়েছে। সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, এজেন্সি কর্মীদের সব বিল হাসপাতালের মাধ্যমে ট্রেজারি অফিসে পাঠিয়েছি। সংশোধন করতে বলায় সেই কাজ করে ফের বিল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অনেক বিল পাশ হয়নি। ফলে কর্মীরা এজেন্সির মাধ্যমে বেতন না পেয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। বিষয়টি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি।
এজেন্সির মালিক অজিত ঘোষের কথায়, বহু বিল পাস করেননি ট্রেজারি অফিসার। ফলে আমার প্রায় আড়াই কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। একাধিকবার ট্রেজারি অফিসে জানালেও লাভ হচ্ছে না। কিছু বিল এক বছর বকেয়া রয়েছে। কিছু আটকে রয়েছে ৬-৭ মাস। ফলে কর্মীদের বেতন দিতে পারছি না। বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই এজেন্সির প্রায় ১১০ জন কর্মী সাফাই, নিরাপত্তারক্ষী, লন্ড্রি, খাদ্য, সহ নানা বিভাগেই কর্মরত। নিরাপত্তারক্ষী ও অন্যান্য বিভাগের কর্মীরা কিছুটা বেতন পেয়েছেন। কিন্তু সাফাই ও লন্ড্রির কাজে যুক্তরা দীর্ঘদিন বেতন পাচ্ছেন না। এক কর্মী বলেন, আমরা বেতন পাচ্ছি না। তাই আজ থেকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। জেলা প্রশাসনের ট্রেজারি অফিসার চিন্ময় হালদারের দাবি, কোন বিল পাস হয়নি জানি না। বিলে যদি সমস্যা থাকে, তাহলে কারণ লিখে দিয়েছি। কত টাকা বকেয়া রয়েছে, বিল না দেখলে এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। এবিষয়ে নর্থ বেঙ্গল হরিজন অ্যান্ড বাসফোর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি বিজয় বাসফোরের মন্তব্য, অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন কর্মীরা। যতদিন বিল মিটবে না, কর্মবিরতি চালিয়ে যাব। নিজস্ব চিত্র